পলাশী থেকে বহরমপুর ছুটলেন এক যুবক রক্ত দিতে

ফারুক শেখ,নতুন গতি,পলাশী:-শত কোটি প্রণাম বর্ষিত হোক তোমার চরণে ।

    আপনার রক্ত দান আর এক জনের জীবন দান ।রক্ত দানের ইচ্ছে থাকলে শত বাঁধা পার করে রক্ত দেওয়া যায়,সেই প্রমাম দিলেন পলাশীর রনি মন্ডল। শিক্ষার সম্মান আরো উজ্জ্বলতার প্রকাশ পায় যখন, কোনো শিক্ষিত সমাজের কর্মী সমাজের পথে সঠিক কর্মটা প্রকাশ করে,ঠিক টা যেমন আমাদের অন্যতম হিরো রনি ভাই। বহরমপুর লীলা হসপিটালে আজ দুই দিন থেকে সর্বাঙ্গপুরের সুজন মন্ডল একটা ভাই I.C.U টে ভর্তি ছিল ডায়ালাইসিস এর জন্য B+ রক্তের প্রয়োজনে চারিদিকে খোঁজা খুঁজি রক্ত না পাওয়ায় আমাদের ইমারজেন্সি ব্লাড সার্ভিস গ্রুপের এডমিন এর সাথে যোগাযোগ করেন এবং আমাদের গ্রুপে জানান। 

    গ্রুপের সসক্রিয় সদস্য রনি মন্ডল সাড়া দেই এবং তিনি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হন। ট্রেন ও বাস এর সমস্যার মধ্যেও টিউশন পড়া বাদ দিয়ে পলাশী থেকে ছুটে যান বহরমপুর মেডিকেল কলেজে এবং রক্ত দেয়।রনি ভাই রক্ত দিয়ে এসে নিজেকে মহান প্রমান করেন। রনি মন্ডল আরও বলেন যে রক্ত দানের মতো পৃথিবীতে এর থেকে আনন্দের আর কোনো কিছু হতেই পারেনা। এই পরিস্থিতিতে খুবই রেয়ার গ্রুপের রক্ত পেয়ে পেসেন্ট এর বাড়ির লোক খুবই খুশি হন।
    পেসেন্ট এই কষ্টের মূহুর্তে মুখে হাসি আনতে পেরে রনি ভাই ঔ আমাদের ইমারজেন্সি ব্লাড সার্ভিস গ্রুপের সকলে খুব আনন্দিত।


    পেসেন্টের বাড়ি ঔ আমাদের ইমারজেন্সি ব্লাড সার্ভিস গ্রুপের পক্ষ থেকে রনি ভাইকে হাজার হাজার ভালোবাসা দিয়েছে।
    সকলে আসুন আমাদের সাথে এই মহান কাজে যুক্ত হওয়ার জন্য, ইমারজেন্সি ব্লাড সার্ভিস গ্রুপ সবার জন্য সব সময় পাশে থাকে ২৪/৭
    রক্তদান মহৎ দান। এগিয়ে আসুন রক্তদানে,
    বাঁচিয়ে তুলুন প্রাণ।
    এগিয়ে আসুন ভাই-বোন সব,
    হিন্দু মুসলমান।
    রক্তদানে পুণ্য বাড়ে,
    বাড়ে মনের জোর
    রক্তদানে এগিয়ে আসুন
    সারা বছর-ভোর।
    জাতি ধর্ম নির্বিশেষে
    রক্ত সবার লাল,
    তবুও কেন ব্লাড ব্যাঙ্কে
    রক্তের অকাল……?