২১শে জুলাই এর দেওয়াল লিখন ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক! মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে

মালদা, ০৬ জুলাই : সামনেই ২১ শে জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ দিবস। রাজ্য-জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা এই সভার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। চলছে দেওয়াল লিখন ও কর্মীসভা। আর এবার এই দেওয়াল লিখন কে ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক সামনে এলো মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরে। এবারে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় বিজেপি কর্মীদের বাড়ির দেওয়াল জোর করে দখল করে ২১শে জুলাই জনসভার জন্য দেওয়াল লিখন করা হচ্ছে। এমনটাই গুরুতর অভিযোগ এনেছেন এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের দাবি সামনে পঞ্চায়েত ভোট। আর এলাকায় এর আগে প্রভাব বিস্তার করতেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা এলাকায় গুন্ডামি আরম্ভ করেছে। জোর করে বিজেপি কর্মীদের বাড়ির দেওয়াল দখল করে নিয়ে সেখানে তারা নিজেদের সভার জন্য দেওয়াল লিখন করছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে বাধা দিতে গেলে জুটছে হুমকি। এদের ভয়ে বিজেপির কর্মীরা অনেকেই প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে ভয় পাচ্ছেন এমনটাই অভিযোগ বিজেপি জেলা নেতৃত্বের।

     

    পাশাপাশি, অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বিরুদ্ধে। সুলতান নগর সহ এলাকার বিভিন্ন বিজেপি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জোর-পূর্বক দেওয়াল লিখন করছেন। দেওয়াল লিখন না করতে দিলে বিজেপি কর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন। ভয়ে অনেক বিজেপি কর্মী বাধ্য হয়ে তাদের বাড়ির দেওয়ালে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের লিখতে দিচ্ছেন। গোটা ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে।

    এদিকে, এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে এলাকার বিজেপি কর্মীদেরকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপি কর্মীদের বাড়ির দেওয়াল দখল করছে। জোর করে তাদের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে দেওয়াল লিখনের কাজ করছেন। তাদের দলে টানার চেষ্টা করছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। প্রভাব বিস্তার করতে তারা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস শুরু করেছে তীব্র ভাষায় আক্রমণ সানিয়েছে জেলা বিজেপি সম্পাদক কিষান কেডিয়া।
    অন্যদিকে, তাদের বিরুদ্ধে ওটা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান। তাদের দাবি ২১ শে জুলাই জনসভা উপলক্ষে এলাকার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন দেওয়ালে দেওয়াল লিখন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে নিয়ম মাফিক প্রত্যেকের কাছ থেকেই আমরা পারমিশন নিচ্ছি। তারপরই সেই দেওয়ালে সভার জন্য দেওয়াল লিখন করছি। বিজেপি এগুলো মিথ্যে অভিযোগ করছে।কিছু বিজেপি কর্মীর দেওয়ালেও লেখা হয়েছে। আমরা এই ভাবে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করছি। যদি আগামী দিনে ওরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করে, সেই দরজাও খোলা রাখছি। আর যা নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপির রাজনৈতিক তরজা।