স্বাস্থ্যকর্মীর খুনের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

নিজস্ব প্রতিবেদক:- বীরভূমের পাড়ুইয়ে অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীর (health worker) খুনের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা (Political turmoil)। শনিবার মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর, বিজেপির (BJP) এক প্রতিনিধিদল পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেছে। পাল্টা গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করেছে তৃণমূল। খুনের অভিযোগে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে উদ্ধার হয়েছিল এক অস্থায়ী কর্মীর রক্তাক্ত মৃতদেহ। খুনের ঘটনার ৪ দিনের মাথায় গ্রেফতার হলেন ওই উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রেরই এক স্বাস্থ্যকর্মী। আর এই ঘটনাতেও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বুধবার সন্ধেয় বীরভূমের পাড়ুইয়ের বাতিকার উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক স্বাস্থ্যকর্মীর মৃতদেহ। ইলামবাজারের ক্ষুদ্রপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ করতেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল দেহ। মুখ দিয়ে বেরোচ্ছিল রক্ত। পরের দিনই থানায় খুনের অভিযোগ করে পরিবার। এই অবস্থায় শনিবার সকালে, মৃতার বাড়ি গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। সেই দলে উপস্থিত ছিলেন গেরুয়া শিবিরের ৬ বিধায়ক। বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর কথায়, ‘যেভাবে একের পর এক খুন হচ্ছে তাতে বুঝতেই পারছেন কী পরিস্থিতি! পুলিশ কী করছে? তবে পরিবারের পাশে আছি আমরা।’পাড়ুইয়ে স্বাস্থ্যকর্মী খুন নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় সরব বিজেপি। আর তাতেই পাল্টা জবাব দিল তৃণমূল। ইলামবাজারের তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, ‘বিজেপি নাটক করছে, উস্কানিমূলক মন্তব্য করছে’।ষতবে এই ঘটনায় বিচার চায় মৃতার পরিবার। মৃতার মা বারবার বলছেন, ‘দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।’স্বাস্থ্যকর্মীকে খুনের অভিযোগে বাতিকার গ্রাম থেকে শুক্রবার রাতে একই উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্থায়ী কর্মী শ্রীদাস হাঁসদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।