হলদিয়া টাউন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের অফিসে প্রস্তুতি সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২১শে জুলাই শহীদ দিবস ধর্মতলা চলো উপলক্ষে হলদিয়া টাউন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের অফিসে প্রস্তুতি সভা ও হলদিয়া টাউন ব্লক কের নবনিযুক্ত সভাপতি মোঃ আরিফ হোসেন কে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো। উক্ত ২১শে জুলাই এর প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন মহাম্মদ আরিফ হোসেন হলদিয়া টাউন ব্লক সংখ্যালঘু সিলের সভাপতি। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পূর্বমেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক সেখ আলাউদ্দিন সেখ শাহাজান সেখ আনসার আলী ,নাসির আহমেদ জাহাঙ্গীর মণ্ডল, হরবিন্দর সিং আব্দুল মালেক ও সেখ হাইবতুল্লাহ সংখ্যালঘু নেতৃত্ব প্রমুখ।

    প্রসঙ্গত, সাল ১৯৯৩। তখনও তৃণমূলের জন্ম হয়নি। তখন পশ্চিমবঙ্গ যুব কংগ্রেসের ‘আগুনে নেত্রী’ তথা সভাপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে জ্যোতি বসুর সরকার। এ সময় সিপিএমের বিরুদ্ধে ছাপ্পা-রিগিং-এর অভিযোগ নিয়মিত শোনা যায় বিরোধিদের মুখে। এমন আবহেই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার জন্য সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের দাবিতে ২১ জুলাই মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে এই কর্মসূচি দিন ঠিক হয়ে ছিল ১৪ জুলাই। কিন্তু সে বছর ওই সময় প্রাক্তন রাজ্যপাল নুরুল হাসানের প্রয়াণের জন্য কর্মসূচি পিছিয়ে ২১ জুলাই করা হয়। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই মমতার ডাকে মহাকরণ অভিযানের জন্য কলকাতার রাজপথে নামেন কয়েক হাজার যুবকংগ্রেসকর্মী। রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক সচিবালয়ে এই অভিযান রুখতে তৎপর হয় পুলিশ। বিভিন্ন ক্রসিং-এ গড়া হয় ব্যারিকেড। এরপরই হঠাৎ চলতে থাকে গুলি। সেই গুলিতে নিহত হন ১৩ জন যুবকংগ্রেস কর্মী। এই ‘শহিদ’রা হলেন- বন্দনা দাস, মুরারী চক্রবর্তী, রতন মণ্ডল, কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ রায়, অসীম দাস, কেশব বৈরাগী, শ্রীকান্ত শর্মা, দিলীপ দাস, রঞ্জিত দাস, প্রদীপ দাস, মহম্মদ খালেক, ইনু। এই ১৩ যুবকংগ্রেসকর্মীর মৃত্যুতে রীতিমতো উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। কার নির্দেশে গুলি চালাল পুলিশ, এই প্রশ্নের আজও মীমাংসা হয়নি। উল্লেখ্য, সেসময় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে পরবর্তীকালে এ ঘটনায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ক্নিনচিট দেয় সিবিআই।