প্রবল বিরোধীতা সত্বেও পাউরুটির দাম কমছেনা

নিউজ সংবাদদাতা : কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতা। সিপিএম/সিটু সমর্থিত ইউনিয়নের বিরোধীতার সত্বেও পাউরুটির দাম আগামী রবিবার থেকে বাড়ছে।কোমরভাঙা সিপিএম/সিটু সমর্থিত পশ্চিমবঙ্গ শ্রমিক এন্ড লাইন্সম্যান ইউনিয়ন, পাউরুটির ব্যাপারে অন্যায় দাবি করছে।
আগামী রবিবার ২০শে নভেম্বর থেকে প্রতি 400গ্রাম পাউরুটির দাম 4টাকা করে বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গ বেকারী মালিকদের জয়েন্ট এ্যকশেন কমিটির সম্পাদক বিধায়ক ইদ্রিস আলী জানান পাউরুটি প্রস্তত করার জন্য যে সমস্ত কাঁচামালের দরকার হয় (যেমন ময়দা, চিনি ,ঘি, জ্বালানী ইত্যাদি) তার অস্বাভাবিক ভাবে দাম বৃদ্ধির জন্য আমরা বেকারী শিল্পকে বাঁচাতে, পাউরুটির দাম বৃদ্ধি করতে বাধ্য হলাম। কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে উদাসীন। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকে প্রায় সব ময়দা আমাদের কিনতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতার জন্য প্রত্যেক দিনই ময়দা, আটার দাম অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ছে।এর আগে 2রা জানুয়ারি 2022, যখন আমরা পাউরুটির দাম বাড়িয়েছিলাম(প্রতি 400গ্রাম পাউরুটির দাম 24 টাকা থেকে 28 টাকা হয়েছিল)তখন ময়দার দাম ছিল প্রতি কুইন্টাল এ 2500 টাকা। আজ 18ই নভেম্বর 2022, ময়দার দাম কুইন্টাল প্রতি 2500টাকা থেকে বেড়ে 3350 টাকা হয়েছে অর্থাৎ প্রতি কুইন্টাল 850 (সাড়ে আট শো) টাকা বেড়েছে ,যা ইতিপূর্বে কোন দিন হয়নি। সমস্ত কাঁচামাল সহ খরচার হিসাব করলে
প্রতি 400 গ্রাম পাউরুটির দাম 4টাকা চেয়েও বেশি বাড়ে। কিন্তু আমরা সবদিকটা চিন্তা করে আপতত: প্রতি 400 গ্রাম পাউরুটির দাম 4 টাকা করে বাড়াচ্ছি।সমভাবে 200 গ্রাম পাউরুটির দাম বর্তমানে 14টাকা থেকে বেড়ে 16 টাকা হবে ,আগামী রবিবার থেকে। বর্তমান 100 গ্রাম পাউরুটির দাম 7.50 টাকা। সেটা আগামী রবিবার থেকে বেড়ে সাড়ে আট টাকা হবে। সম্পাদক বিধায়ক ইদ্রিস আলী আরো জানান, ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গেই পাউরুটির দাম সবচেয়ে কম। দিল্লীতে পাউরুটির দাম বর্তমানে প্রতি 400 গ্রাম 40টাকা, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খন্ড,বিহারে প্রতি 400 গ্রাম পাউরুটির দাম 35 টাকা।ব্যাঙ্গালোর এবং চেন্নাই এ বর্তমানে প্রতি 400 গ্রাম পাউরুটির দাম 50 টাকা। জনসাধারণের কথা চিন্তা করে এবং বেকারী শিল্পকে বাঁচাতে আমরা পাউরুটির দাম বৃদ্ধি করতে বাধ্য হলাম। উল্লেখ থাকে কেক, বিস্কুট ইত্যাদির ও দাম এই পরিমানে বাড়ছে।
সম্পাদক ইদ্রিস আলী জানান, ভারত স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আমাদের এই কমিটি / এ্যসোশিয়েশন, পাউরুটির দাম নির্ধারন করে আসছে। পরে 1990 সাল থেকে আর একটা এ্যসোশিয়েশন যার নাম ওয়েষ্ট বেঙ্গল বেকার্স কো অডিনেশন কমিটি, যার সম্পাদক এর নাম সেখ ইসমাইল হোসেন , আমরা একসঙ্গে পাউরুটির দাম নির্ধারণ করি। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে পাউরুটির দাম নির্ধারণ করি আমরা ,জয়েন্ট এ্যকশেন কমিটি এবং বেকার্স কো অডিনেশন কমিটি। এবারেও 20শে নভেম্বর থেকে পাউরুটির দাম বাড়ছে,তার সিদ্ধান্ত আমাদের এই দুই কমিটির অর্থাৎ জয়েন্ট এ্যকশেন কমিটির এবং বেকার্স কো অডিনেশন কমিটির। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় 4000 হাজার বেকারী শিল্প আছে তার মধ্যে ছয়টি বেকারী বাদ দিয়ে বাকি সকল বেকারীর মালিক আমাদের এই দুই কমিটির সদস্য।
আপনাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে জানাই বিজেপির সমর্থক এক ব্যক্তি মাত্র ছয়টি বেকারীকে নিয়ে একটি সংগঠন করে, সংবাদ মাধ্যমকে বিভ্রান্ত করে। ওদের পাউরুটির দাম বাড়ানোর কোনো ক্ষমতায় নেই।এর আগে উক্ত ব্যক্তি,গত 6ই নভেম্বর থেকে দুই টাকা করে পাউরুটির দাম বাড়বে বলে দুই একটা সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দেয়। কিন্তু বাড়াতে পারে নি।ঐ ভন্দ্রলোকের কোন দিন পাউরুটি প্রস্তত করার কারখানা ছিল না এবং আজ ও নাই।
সম্পাদক ইদ্রিস আলী আরো জানান,কোমরভাঙা/সিটু সমর্থিত পশ্চিমবঙ্গ শ্রমিক এন্ড লাইন্সম্যান ইউনিয়নের কিছু ব্যক্তি হঠাৎ করে রাজনীতি করতে নেমে গেছে। তাঁরা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে বসে নাকি পাউরুটির দাম বাড়াতে হবে। ইদ্রিস আলী বলেন,আমরা আইনগতভাবে এবং চুক্তিমত লাইন্সম্যানদের কমিশন দিয়ে থাকি এবং এবারও দেব। কিন্তু আইনগতভাবে আমরা তাদের সঙ্গে বসতে বাধ্য নই, তাছাড়া সব জায়গায় তাদের ইউনিয়ন নেই।