রামপুরহাটে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনটিকে সম্প্রীতি দিবস হিসাবে পালন করল বীরভূম জেলা বামফ্রন্ট

মহম্মদ রিপন, নতুন গতি :

    বীরভূম জেলার রামপুরহাট শহরে বীরভূম জেলা বামফ্রন্টের নেতৃত্ব ও অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলির নেতৃত্বে পালিত হলো সম্প্রীতি দিবস।
    ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ জেলার অযোধ্যা শহরে বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয় সাথে ধ্বংস হয় ।
    হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, ‘অযোধ্যাই ছিল রাজা রামের রাজত্বের রাজধানী। রাম কেবল রাজা ছিলেন না, তিনি ছিলেন বিষ্ণুর অবতার। রামের মৃত্যুর পর অযোধ্যায় স্খাপিত হয় রাম মন্দির। মীর বাকী এই রাম মন্দির ভেঙে সেখানে নির্মাণ করেন বাবরের নামে বাবরি মসজিদ।’ কিন্তু রামায়ণের বর্ণনা অনুসরণ করে এ পর্যন্ত অযোধ্যায় কোনো প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়নি। । যদিও এই নিয়ে গত কয়েক শতক ধরেই ধর্মীয় বিতর্ক চলছে, পরে যাতে রাজনৈতিক রঙ লেগেছে।
    ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর সুপ্রিমকোর্টের আদেশ অনুযায়ী মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় সমাবেশ শুরু করে করসেবকরা। পরে সমাবেশটি দাঙ্গার রুপ নেয় এবং বাবরি মসজিদ সম্পূর্ণরুপে ভূমিসাৎ হয়। খুনজখম হয় কয়েক হাজার লোক। দেশ জুড়ে থমথমে দাঙ্গা দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনটিকে কালা দিবস হিসাবেও পালন করা হয়। ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতিতে বীরভূম জেলা বামফ্রন্ট নেতৃত্তের এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন বীরভূম জেলা বাসি। উদ্যোক্তাদের মধ্যে একজন সৈয়দ ইবরাহিম হিমেল বাবু জানান সারাদেশ জুড়ে বিজেপি সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে তাতে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে সমগ্র ভারতবাসীকে। আমরা ধর্মের রাজনীতি করি না জাতপাত নির্বিশেষে দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আমাদের সম্প্রীতি মিছিলে পা মিলিয়েছেন।