পূর্ব বর্ধমানের সংখ্যালঘুদের কঠিন দুরবস্থার কথা শুনলেন সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান মমতাজ সংঘমিতা

আসমা খাতুন, বর্ধমান :  যেখানে সংখ্যালঘু তোষণ  এবং সংখ্যালঘু  উন্নয়নের ডঙ্কা পেটানো হচ্ছে সেখানে পূর্ব বর্ধমানের সংখ্যালঘুদের কঠিন দুরবস্থার কথা বর্ণনা করলেন সংখ্যালঘু প্রতিনিধিরা। বর্ধমান সার্কিট হাউসে সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে  মনোযোগ সহকারে  অভিযোগ শুনলেন সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন এমপি  ডাক্তার মমতাজ সংঘমিতা । পূর্ব বর্ধমানে স্কুল, কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয় , অফিস, আদালত, হসপিটাল প্রভিতি  সরকারি প্রতিষ্ঠানে মুসলিম চাকরিজীবী দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হবে। পুলিশ প্রশাসনে মুসলমানদের অবস্থা আরো কঠিন । ৪০ শতাংশের বেশি মুসলমানের বসবাস পূর্ব বর্ধমানে   এই মুহূর্তে একজন ওসি ও মুসলিম নেই। চাকুরীতে বাম জমানার থেকে অবস্থা আরো খারাপ, সংখ্যালঘু মুসলিমদের চাকরির হার ২ শতাংশের নিচে নেমে গেছে  ।  ওবিসি এ ক্যাটাগরী সংরক্ষণ নীতি স্কুল কলেজ অফিস আদালতে কোনোটাতেই মানা  হচ্ছেনা । শুধুমাত্র ওবিসি এ ক্যাটাগরি  সংরক্ষণ নীতি প্রয়োগ করলে কমসেকম ১০০ জনের মধ্যে ১০  জন মুসলিম চাকরি পেতো  কিন্তু বাস্তবে সেটা কোনোভাবেই দেখা যাচ্ছে না। বর্ধমানের বেশিরভাগ মুসলিম ওয়াকফ প্রপার্টি দখল হয়ে গেছে   ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি ।বর্ধমানের মুসলিম  ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং ঐতিহ্যশালী সম্পত্তি খসে খসে পড়ে যাচ্ছে ।মেরামতি এবং সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা নেই । বর্ধমানের অনেক প্রাচীন মসজিদ যেখানে নামাজ পড়া হয়না ঝোপ জঙ্গলে ভরে গেছে মসজিদ আবাদ হয়নি  ।  ২০০ থেকে ৫০০  বছর আগের ঐতিহাসিক মসজিদ গুলি মেরামত ও  রক্ষণাবেক্ষণ এর ব্যবস্থা করা দরকার । মোটকথা পূর্ব বর্ধমানের সংখ্যালঘুদের অবস্থা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল গুলি  সংখ্যালঘু তোষণ  নামে এমন  প্রচার করছে যেটা বৃহত্তর একটি সমাজ মেনে নিচ্ছে যেন সত্যিই  তোষণ হচ্ছে । কিন্তু পরিসংখ্যান সম্পন্ন অন্যরকম কথা বলছে। পূর্ব বর্ধমানের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ডোমা মুসলিম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্যদেরকে বিভিন্নভাবে অসহযোগিতা করছেন। বিভিন্ন ওয়াকফ কমিটি গুলির  অনেক সমস্যা সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান কে কমিটির লোকেরা অবগত করেন। সংখ্যালঘু কমিশনের  চেয়ারম্যান ডাক্তার মমতাজ সংমিতা বলেন সমস্ত সমস্যার সমাধান করার ক্ষমতা তার নেই কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের এরকম অবস্থা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন।