|
---|
কিশান্গঞ্জ, উদ্ধার হওয়া এক প্রাচীন মূর্তির প্রাচীনত্ব নিয়ে প্রশ্ন ? আন্তঃরাজ্য মূর্তি পাচার চক্রের সঙ্গে যোগাযোগের সম্ভাবনা
নতুন গতি প্রতিবেদক ঃ সম্প্রতি কিশান্গঞ্জ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি প্রাচীন মূর্তি নিয়ে বিতর্ক ক্রমশই দানা বাঁধছে। মূর্তিটি কার বা তার প্রাচীনত্ব সম্পর্কে যেমন প্রশ্ন উঠেছে,তেমনই এর সঙ্গে আন্তঃরাজ্য মূর্তি পাচার চক্রের সঙ্গে এই ঘটনার যোগ আছে কিনা,তা নিয়েও ওয়াকিবহাল মহলে উঠেছে জিজ্ঞাসা। বিষয়ে প্রয়োজনীয় তদন্ত চলছে।মূর্তিটি কার বা তার প্রাচীনত্ব সম্পর্কে যেমন প্রশ্ন উঠেছে, তেমনই এর সঙ্গে আন্তঃরাজ্য মূর্তি পাচার চক্রের সঙ্গে এই ঘটনার যোগ আছে কিনা,তা নিয়েও ওয়াকিবহাল মহলে উঠেছে জিজ্ঞাসা। তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্ম বিষয়ে উৎসাহী গৌড় মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ঋষি ঘোষ এই মূর্তিটি সম্পর্কে জানান,মূর্তিটির প্রাপ্তিস্থান ও বাহ্যিক আকার দেখে প্রাথমিক অনুমানে মনে হয়, ইনি তান্ত্রিক বৌদ্ধ ধনদেবতা জম্ভল।তাঁর মতে,বাংলাদেশের পাবনা জেলার মহাস্থান জাদুঘর ও রাজশাহির বরেন্দ্র জাদুঘরে এই বিশেষ ধরণের জম্ভলমূর্তির নমুনা রক্ষিত আছে। মূর্তিতত্ত্বের আকরগ্রন্থ ‘দ্য ইন্ডিয়ানবুদ্ধি স্টআইকনোগ্রাফি’তে এই ধারণার সমর্থন মেলে বলে তিনি জানান।তবে বিস্তৃতভাবে খুঁটিয়ে না দেখে মূর্তিটি কোন ধাতুর বা কত প্রাচীন,তা বলা সম্ভব না।তাঁর ধারণাকে সমর্থন করে এই মূর্তির প্রাচীনত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বৌদ্ধ তন্ত্রগ্রন্থ ‘সাধনমালা’র অনুবাদক ও ভারততত্ত্ববিদ ড. অনিন্দ্যবন্ধু গুহ। মূর্তিটির সামনের ও পিছনের ছবির গরমিলের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন,এমনটি হতেই পারে না।সেক্ষেত্রে মূর্তির অ্যন্টিভ্যালু তৈরি করে সেটিকে বিক্রি করার কোন চক্র থাকতেও পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।তবে এ নিয়ে এশিয়াটিক সোসাইটি বা কলকাতা যাদুঘরের মতো কোন প্রতিষ্ঠান সক্রিয় হলে সত্য বেরিয়ে আসবে বলেই অনুমান।লকডাউন পরিস্থিতি না থাকলে এই মূর্তির রহস্যভেদ করা অনেক সহজ হতো,এ মত মানছেন সকলেই। পৃথিবী থেকে অনাহার,দারিদ্র্য ও বিপদ দূর করার জন্য বৌদ্ধ মঠগুলিতে পূজিত হতেন জম্ভল-মূর্তির প্রাচীনত্ব নিয়ে বিতর্ক যাই থাক,এই সর্বব্যাপী এই বিপদের সময়ে এই মূর্তির উদ্ধার বিশেষ তাৎপর্যবাহী,এমনই মত গবেষকদের।