|
---|
ফলে সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দরিদ্রসীমার নীচে বা কাছাকাছি থাকা মানুষরা ।লকডাউন এর ফলে এদের না খাওয়ার সংকটে মৃত্যু অনিবার্য হয়ে উঠছে। কভিড এর আগে এরা না খেয়ে মারা যাবে কিনা ? প্রশ্ন তুলেছেন নারায়ন এস মূর্তি। তাঁর কথায় covid এ যত না বেশি মরবে লকডাউন দীর্ঘায়িত হলে তাতে অনেক বেশি মারা যাবে মানুষ।
এরকম নিয়ে একটা কথা বার্তা কদিন ধরেই চলছে দেশের অর্থনীতিতে । বিজ্ঞজনেরা নানা মত দিচ্ছেন। সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে রঘুরাম রাজনের একটি আলোচনা হয়েছে, সেই আলোচনার সূত্র ধরে রাজন জানাচ্ছেন – “সরকার এতদিন ধরে লকডাউন রাখলে দেশের অনেক মানুষেরই খাওয়ানো বা খাবার জোগাড় করার ক্ষমতাটা থাকবে না জোগাড় করার।তার মতে আস্তে আস্তে লকডাউন তুলে নেওয়ার জন্য সরকারের একটা স্মার্ট পলিসি নেওয়া উচিত। অনেক অনেক বেশি আছে লকডাউন করে সুবিধাটা নিতে পারে কিন্তু এই যে পরিস্থিতি চলছে তাতে করে খুব একটা ইতিবাচক ফল ফলবে না। কারণ বিশ্বঅর্থনীতি নিয়ে আরও কিছু নতুন করে ভাবনা চিন্তার অবকাশ এসে গেছে। তার আগে এখনই ভাবা যাবে না আগামী দিনে লকডাউন এর ফলে দেশের মানুষগুলো সুস্থ হচ্ছে এখন বটে কিন্তু আর্থিক অনিশ্চয়তার হাত থেকে মুক্তি পাবে। এই হচ্ছে রঘুরাম রাজন এর বক্তব্য”। গান্ধীর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রাক্তন রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর জানান ,ভারতবর্ষে এই মুহূর্তে টেস্টিং এর ক্যাপাসিটি প্রতিদিন পাঁচ লাখ করতে হবে । এইভাবে সরকারকে ঢেলে সাজাতে হবে । করোনাভাইরাস থেকে গোটা দেশবাসীকে মুক্ত করতে গেলে টেস্টিং অনিবার্য এবং সেই টেস্টিংটা না করলে উপসর্গহীন করনা বাহিত মানুষরা পরবর্তীকালে আরও করোনা ছড়াবার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে । সেজন্য টেস্টিং চালিয়ে যেতে হবে এবং এখনও পর্যন্ত দেশে খুব কমই টেস্টিং হচ্ছে একথা বলে তিনি জানান , সরকারের সামনে একটা টার্গেট রাখা হয়েছে সেটা কমপক্ষে পাঁচ লাখ প্রতিদিন।
সংবাদ সৌজন্যে : বার্তা সাম্প্রতিকhttp://bartasamprotik.blogspot.com/2020/05/blog-post_56.html