বিজেপিতে থাকছেন রাহুল সিনহা

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক:গেরুয়া শিবিরের নেতা-মন্ত্রীরা অনেকেই এই মামলায় সত্যের জয় হয়েছে বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। সেই পথে হেঁটেছেন সদ্য পদস্খলন হওয়া বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তিনি বাবরি ধ্বংসকে জনরোষের ঘাড়ে ঠেলেছেন। নিজের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও বার্তায় তাঁর দাবি, “বাবরি ধ্বংস মামলায় আডবানিজি, মুরলী মনোহর যোশীজি সহ সবাই যে নির্দোষ এবং এটা যে জনরোষের কারণে হয়েছে তা আদালতের রায়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করে। এবং হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে আজকে এটা স্বস্তির কারণ হয়ে গেল যে এরা ভাঙার কাজ করেনি। আজ রামমন্দির প্রতিষ্ঠা হচ্ছে, এর চেয়ে বড় সুখের খবর আর কিছু হতে পারে না।”

     

    কিন্তু এবার প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বিজেপিতেই থাকছেন রাহুল সিনহা। কয়েক দিন আগে হাইকমান্ডের নির্দেশে তাঁর জায়গায় কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ পেয়েছেন তৃণমূল থেকে আসা অনুপম হাজরা। সেদিনই নিজের ক্ষোভ ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় উগরে দেন রাহুল। বলেন, ৪০ বছর বিজেপি করার পুরস্কার পেলেন। এমনকী এটাও বলেছিলেন, ১০-১২ দিনের মধ্যেই নিজের ভবিষ্যথ কর্মপন্থা জানাবেন। অনেকেই মনে করছিলেন, বিজেপি ছাড়তে চলেছেন বঙ্গ বিজেপির দীর্ঘদিনের সৈনিক। কিন্তু আজকের ভিডিও বার্তার পর সেই জল্পনায় অনেকটা জল ঢালল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

     

    বিজেপি সূত্রে জানা যায় যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ রাহুলের মানভঞ্জনের জন্য আসরে নেমেছেন। রাহুল নিজের ক্ষোভ জানাতেই তা প্রশমন করতে মাঠে নামেন সদ্য সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ পাওয়া আরেক তৃণমূল থেকে আসা নেতা মুকুল রায়। বলেন, রাহুল সিনহার বঙ্গ বিজেপির মুখ। তবে কি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিদ্রোহী রাহুলকে বাগে নিয়ে এলেন? ঘটনাপ্রবাহ সেইদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এদিন আরেক তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা নেতা তথা সাংসদ অর্জুন সিং বাবরি ধ্বংসকে সার্টিফিকেট দিয়ে বলেছেন, “মসজিদ ভেঙে ভালই হয়েছে।” কিন্তু রাহুলের আজকের বক্তব্য খুবই ইঙ্গিতপূর্ণ। কোথাও যেন রাগ-অভিমান ভুলে যাওয়ার বার্তা দিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।