বিজেপি গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে জ্বলছে বঙ্গ বিজেপি

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: নতুন বনাম পুরনো বিজেপি কর্মীদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পুড়ছে বঙ্গ বিজেপি। ধিকিধিকি আগুন জ্বলছিলই গতবছর লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে। কয়েক দিন আগে হাইকমান্ডের নির্দেশে তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের বড় পদপ্রাপ্তিতে তাতে ঘৃতাহুতি করেছে। দিকে দিকে আদি ও নব্য বিজেপির মধ্যে লড়াইয়ের আঁচ এবার এসে পড়ল মুরলীধর সেন লেনেও। বুধবার রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে চরম আকার নিল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কয়েকশো বিজেপি নেতা-কর্মীর বিক্ষোভে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল এদিন।

     

    সূত্রে খবর বিক্ষুব্ধরা প্রত্যেকেই আদি বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি হচ্ছে বঙ্গ বিজেপিতে। অন্য দল থেকে আসা নেতাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মাথায় তুলে নাচানাচি হচ্ছে। অন্যদিকে, নব্যদের দাবি, বহিরাগতদের নিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। এদিন মূলত উত্তর কলকাতার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শিবাজি সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে এদিন বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে শিবাজিকে তাঁর পদ থেকে সরাতে হবে। বিজেপি কার্যালয়ের সামনে এই দাবিতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বসে পড়েন বিক্ষুব্ধরা। পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে স্লোগান দিতে থাকেন, “শিবাজি সিংহ রায় হটাও, বিজেপি বাঁচাও।

    এরপরে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তাঁরা অভিযোগ করেন, যাঁরা এতদিন রাস্তায় নেমে ঝান্ডা হাতে দল করছিলেন তাঁরাই এখন ব্রাত্য। অন্য দলের ছাঁটাই নেতারা এখন দল চালাচ্ছেন। এনিয়ে দিনভর উত্তপ্ত থাকে মুরলীধর সেন লেনের সদর দফতর। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে। হাইকমান্ডের নির্দেশে কেন্দ্রীয় পদ পেয়েছেন মুকুল রায়, অনুপম হাজরারা। সবার প্রথম ক্ষোভ উগরে দেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। কিন্তু এদিন তিনি আবার দিল্লি গিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নির্বাচনী বৈঠকে যোগ দিতে। কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি বলেন, দলের নির্দেশে দিল্লি যাচ্ছি। অভিমান ভুলে তাঁর এই দিল্লি যাত্রায় বাধা দিতে এদিন এয়ারপোর্ট বেশ কিছু অনুগামী শুয়ে পড়েন। তাঁদের দাবি, যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাহুল সিনহার সঙ্গে অবিচার করল তাঁদের ডাকে তিনি যেন না যান।