|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : দফায় দফায় ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে, প্রভাব পড়ছে গণপরিবহনের অন্যতম মাধ্যম বাস পরিষেবায়। ইতিমধ্যেই চরম আর্থিক সংকটে ভুগতে শুরু করেছেন জেলার বাস মালিকরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারা বিভিন্ন রুটে বাস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। দিনের পর দিন জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, অথচ ভাড়া বৃদ্ধি না হওয়ার কারণে লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না তারা। এই পরিস্থিতিতে বাস মালিকরা জানালেন, বিভিন্ন রুটে বাস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা৷
ডিজেলের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বাস পরিষেবাকে ধাক্কা দিচ্ছে অন্যান্য যানবাহন। সিউড়ি থেকে সাঁইথিয়া, মহঃবাজার, কড়িধ্যা সহ বিভিন্ন এলাকায় এখন শুরু হয়েছে টোটো ও অটো পরিষেবা। এমনকি নিয়মের তুলনায় অনেক বেশি এই ধরনের যানবাহন যাতায়াত করার কারণে অনেক যাত্রী বাসে যাতায়াত করতে চাইছেন না।ফলে লোকসানের মুখে পড়ছেন বাস মালিকরা।বাস মালিকদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা প্রশাসনের কাছে বারংবার ভাড়া বৃদ্ধির জন্য দাবি-দাওয়া নিয়ে হাজির হয়েছেন। এছাড়াও অবৈধভাবে যেসকল অটো ও টোটো যাতায়াত করছে সেগুলিকেও বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাদের দাবি, এই সকল পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আগামী দিনে সম্পূর্ণভাবে বাস পরিষেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন তারা।বাস মালিক পক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বীরভূম থেকে আন্তঃজেলা, আন্তঃরাজ্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোট ১০০ টির কাছাকাছি রুট রয়েছে। এই সকল রুটে এক সময়ে অন্ততপক্ষে সাড়ে ৬০০ বাস যাতায়াত করত। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এই বাসের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪০০ এর কাছাকাছি। অর্থাৎ হিসেব কষলে লক্ষ্য করা যাবে, অন্ততপক্ষে ২৫০টি বাস পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে করুণ অবস্থা সিউড়ি সাঁইথিয়া রুটে। এই রুটে আগে ২০ থেকে ২২টি বাস যাতায়াত করতো। এখন সেই সংখ্যাটা এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র পাঁচ থেকে ছয়টি বাসে। একই রকম অবস্থা সিউড়ি বক্রেশ্বর রুটেও।
বক্রেশ্বর থেকে আসা এক কলেজ পড়ুয়া জানিয়েছেন, আগে তাঁরা দশ পনেরো মিনিট অন্তর অন্তর বাস পেতেন যাতায়াতের জন্য। কিন্তু এখন বাস পেতে অনেকটা সময় লাগছে। বাস দেরিতে পাওয়ার কারণে তারা সমস্যায় পড়ছেন।