|
---|
গবেষণায় ওবিসি সংরক্ষণ না মানার অভিযোগ কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে, লড়াইয়ের মাঠে সাদেকুল ইসলাম
নতুন গতি ডেক্স : উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এসটি বা এসসি সংরক্ষণ মানা হলেও অনেক ক্ষেত্রে ওবিসিদের বঞ্চিত করা হয়। এমনই অভিযোগ। এবার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ উঠল। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে ওবিসি–এ সংরক্ষণ নীতি মানা হয়নি এই মর্মে ২০১৯ সাল থেকে লোকসংস্কৃতি বিভাগে পিএইচডির ভর্তি আটকে আছে। সমস্ত বিভাগের পিএইচডি ভর্তি সম্পন্ন হলেও ব্যতিক্রম ছিল লোকসংস্কৃতি বিভাগ।
সূত্রের খবর, বিভাগীয় গবেষণা সমিতির (ডিআরসি) সিদ্ধান্ত সহ নির্বাচিত গবেষকদের তালিকা সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। অভিযোগ, প্রায় ছয় মাস সময় কেটে যাওয়ার পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ক্রুটিপূর্ণ লিষ্ট প্রকাশির হয়। তাতে বিভাগীয় গবেষণা সমিতিতে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা না মেনেই পিএইচডির মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়। আশ্চর্যজনকভাবে সেই তালিকায় কোনও ওবিসি–এ প্রার্থীর নাম ছিল না। এ নিয়েই আপত্তি তোলেন সমাজকর্মী সাদেকুল ইসলাম।
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর অনগ্রসর কল্যাণ দফতর (বিসিডব্লিউ)–এ অভিযোগ করেন সাদিকুল ইসলাম। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিসিডব্লিউ ডিপার্টমেন্ট কারণ জানতে চেয়ে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে চিঠি দেন। তারপর থেকেই লোকসংস্কৃতি বিভাগের পিএইচডি ভর্তি বন্ধ রয়েছে।
জানা গিয়েছে, এরপর নতুন করে ১১ জনের একটি তালিকা ২০২১ সালের ৮ মার্চ প্রকাশ করা হয়। এখানেও আশ্চর্যজনকভাবে ওবিসি–এ সংরক্ষণ বিধি না মেনেই মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভর্তির তারিখ ছিল ১০ মার্চ। সাদিকুল ইসলামের নজরে বিষয়টি আসার পর তিনি পুনরায় উচ্চশিক্ষা দফতর, মুখ্যমন্ত্রীর দুর্ণীতি দমন শাখা, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সহ আরোও বিভিন্ন জায়গাতে এই ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ করেন। আর তাতেই নড়েচড়ে বসে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সাদিকুল জানান, বিসিডব্লিউ ডিপার্টমেন্ট তৎপরতার সঙ্গে বিষয়টি দেখভাল করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্বিত ফেরে। কিন্তু ফের একই কায়দায় সংরক্ষণ বিধি অগ্রাহ্য করা হয়েছে। যদিও বিসিডব্লিউ ডিপার্টমেন্ট বিষয়টি দেখার কথা বলেছে। তিনি আরও বলেন, সংরক্ষণের প্রশ্নে লড়াই জারি থাকবে।