শৈলেন মান্নাকে সোনার মুকুট উপহার দিয়েছিলেন বর্ধমানের চন্দ্রনাথ।

লুতুব আলি : শৈলেন মান্নাকে সোনার মুকুট উপহার দিয়েছিলেন বর্ধমানের চন্দ্রনাথ। ১ সেপ্টেম্বর ছিল বিশ্ব বরেণ্য ফুটবলার শৈলেন মান্নার ৯৮ তম জন্মদিন। এই কিংবদন্তি ফুটবলার শৈলেন মান্নার জন্মদিনটিকে বিশেষভাবে স্মরণ করলেন বর্ধমানের বিশিষ্ট সমাজসেবক চন্দ্রনাথ মুখার্জি। দুই দশক আগে ইংল্যান্ড এর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বিচারে বিশ্বের সেরা ১০ জন খেলোয়াড়ের তালিকায় শৈলেন মান্নার নাম স্থান পাওয়ার অব্যবহিত পর চন্দ্রনাথ মুখার্জির নেতৃত্বে বর্ধমান স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শৈলেন মান্না কে আমন্ত্রণ জানিয়ে বর্ধমান লোকসংস্কৃতি মঞ্চে উপচে যাওয়া ভিড়ে সোনার মুকুট উপহার দেওয়া হয়। চন্দ্রনাথ বাবুর সহধর্মিনী বকুল মুখার্জি তদানীন্তন বর্ধমান মহিলা কোঅপারেটি ভ সোসাইটি লিমিটেডের পক্ষ থেকে শৈলেন মান্নাকে রুপোর থালা উপহার দেন। বর্ধমানের এই মুখার্জি দম্পতি কিংবদন্তি ফুটবলার শৈলেন মান্না কে নিয়ে আজও তাঁরা স্মৃতি রোমন্থনে অবিচল। বিশ্বায়নের যুগে ফুটবল খেলা সার্বিকভাবে বিকাশ সাধন না হয়ে অনেকেই হয়ে পড়ায় শৈলেন মান্নার গুণমুগ্ধ চন্দ্র নাথ মুখার্জি বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন ফুটবল খেলার প্রচার ও প্রসার সঠিকভাবে করতে পারলে তবেই ফুটবল খেলার প্রতি আগ্রহ সঞ্চার হবে। শৈলেন মান্না চেয়েছিলেন বাংলা তথা ভারতের ফুটবল বিশ্বের দরবারে বারে বারে উপস্থাপিত হোক। উল্লেখ্য, শৈলেন মান্না হাওড়ার গ্রামীণ এলাকা থেকে ১৯৪১ সালে হাওড়া ইউনিয়ন ক্লাবের হয়ে তাঁর ফুটবল জীবনের শুরু হয়েছিল। অধ্যাবসায়ের ফলে পরবর্তীকালে শৈলেন মান্না মোহনবাগান ক্লাবের সঙ্গে পুরোপুরি ভাবে যুক্ত হয়ে যান এবং কিছুদিন ইস্টবেঙ্গলের হয়েও খেলেন। ১৯৫১ সালে এশিয়াডে স্বর্ণপদক পান। ১৯৫১ থেকে ৫৬ সাল পর্যন্ত ভারতের ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন।