সাড়ম্বরে মেমারি বইমেলার উদ্বোধন

কে কে আনাম,মেমারি : মেমারি পৌর সভার উদ্যোগে একাদশ তম বইমেলার উদ্বোধন হল। প্রদীপ জ্বালিয়ে, ঘন্টা বাজিয়ে বইমেলার উদ্বোধন করা হল। উদ্বোধন করলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়। সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর মঞ্চে – ঐকতান প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ী, ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত, সদর বর্ধমানের এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী, এসডিও কৃষ্ণেন্দু মন্ডল, বিশিষ্ট সমাজসেবী নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়, মেমারি থানার ওসি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়, মেমারি ব্লক একের বিডিও আলি মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ্, মেমারি এক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বসন্ত রুইদাস, সহ সভাপতি সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন , পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলর, রাজনীতি, সাহিত্য জগত ও শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গ।
অনুষ্ঠানে মেমারি পৌর সভার ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ত্রিশ বছরের জনপ্রতিনিধি ও তিনবারের পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ী তাঁর স্বাগত ভাষণে অনুষ্ঠানে সবায়কে অভিনন্দন জানান। তিনি ঘোষণা করেন মেমারি পৌরসভা এখানে একটা পাকা মুক্তমঞ্চ তৈরি করা হবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তমাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বইমেলা হল একটা ধর্ম নিরপেক্ষ উৎসব। বাঙালি হল নবজাগরণ বিধৌত জাতি। তাঁর মতে, আগামী দিনে এক নতুন বাঙালি জাতি উঠে আসছে। তাঁর আশা ভবিষ্যতে বাংলার মনন চর্চা আরও বিকশিত হবে। তিনি মেমারি বইমেলার সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন। বিশিষ্ট সমাজসেবী নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আজ যদি আমরা বই বহন করি তাহলে বই একদিন আমাদের বহন করবে। বই কোনোদিন বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। বিদায়ী ভাষণ দেন ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত। তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ১৬ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে বইমেলা। ৫০টির বেশি স্টলে কলকাতার বিখ্যাত পুস্তক প্রকাশনী ও বই বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান এসেছে বইমেলায়। মেমারির নতুন বাসস্ট্যান্ডে স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের ও পুস্তক প্রেমী দের জমজমাট ভিড়ে শুরু হল বইমেলা। বিভিন্ন দিনে সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, ক্যুইজ, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, রং ভরো, নাটক প্রভৃতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ২২ জানুয়ারি রবিবার আনন্দ মুখর সংগীত সন্ধ্যায় উপস্থিত থাকবেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সংগীত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী।উল্লেখ্য, শেষ বইমেলা হয় ২০২০ সালে। সেই বছর পাঁচ লক্ষ টাকার মতো বই বিক্রি হয়েছিল। করোনার অতিমারির মারণ পরিবেশে গত দু’বছর হয় নি এই বইমেলা। ফলে, মানুষের মধ্যে একটা বাড়তি উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। শহরের উন্নয়নে নজিরবিহীনভাবে কাজ করে চলেছে মেমারি পৌরসভা। আজকের বইমেলার সুশৃঙ্খল অনুষ্ঠানে উদ্যোগে আয়োজনে তার প্রমাণ পাওয়া গেল।
বইমেলা কমিটির পক্ষ থেকে সাধারণের কাছে আবেদন জানানো হয়, সব স্টলে যাওয়ার এবং অন্তত একটা করে বই কেনার। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন , সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব কল্লোল দত্ত ও বিশিষ্ট সমাজসেবী ও যুবনেতা সাহেব রসুল।