কেশপুরের পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনা বাবদ দ্বিগুন টাকা, জোরপূর্বক নেওয়ার অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের অনলাইনে পড়াশোনার সুবিধার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি পড়ুয়াকে 10000 টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই সেই টাকা পড়ুয়াদের একাউন্টে ঢুকতে শুরু করেছে। টাকা পেয়ে বেজায় খুশি পড়ুয়ারা। কিন্তু কেশপুরের এক হাইস্কুলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠল। জানা যায়, কেশপুরের ধলহারা পাগলিমাতা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার জন্য যে পরিমাণ টাকা আসার কথা, তার দ্বিগুন টাকা চলে আসে অর্থাৎ মোট 20 হাজার টাকা একাউন্টে ঢুকেছে।

    কিছু পড়ুয়া স্কুলে বিষয়টি জানালে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি চুপিসারে মিটিয়ে ফেলতে চেয়েছিল। সেই মতো স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্র ছাত্রীদের ব্যাংক পাসবুক নিয়ে বিদ্যালয়ে হাজির হতে বলে।
    শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা স্কুলে এলে কেড়ে নেওয়া হয় ব্যাংকের অরিজিনাল পাসবুক। সাদা কাগজে এই মর্মে লিখে নিয়ে তাদের সই করাতে বাধ্য করা হয় যে ২৮ তারিখের মধ্যে টাকা দিতে হবে। এমনকি, ছাত্র-ছাত্রীরা জানিয়েছে, যদি তারা টাকা চুপি চুপি এসে স্কুলে না ফেরত দেয় তাহলে তাদের পরীক্ষার প্রজেক্টের নম্বররও আটকে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিতে থাকেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

    বিষয়টি জানা জানি হয়ে যাওয়ায় প্রধান শিক্ষক শ্যামল কুমার ঘটক অভিযোগ নাকচ করে দেয়। তিনি বলেন, মেল ভুল হওয়ায় ভোকেশনালের 24 জন ছাত্রের এই ভুল হয়েছে। আমরা অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে নিদিষ্ট সরকারি ফরম্যাট এ টাকা ফেরত দেবো। এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।