সম্পূর্ণ নিজের হাতে রান্না করে কৃষ্ণনগর স্টেশন সংলগ্ন দুঃস্থ মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের পুষ্টিকর খাবার খাইয়ে চলেছেন স্কুল শিক্ষক অমরেশ আচার্য

নিজস্ব সংবাদদাতা : দুঃস্থ মানুষদের খাওয়াতে পয়সা লাগে না, লাগে একটু উদার মানসিকতা, জীবনের এই ব্রত নিয়ে এগিয়ে চলেছেন কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা পেশায় স্কুল শিক্ষক অমরেশ আচার্য। সম্পূর্ণ নিজের হাতে রান্না করে কৃষ্ণনগর স্টেশন সংলগ্ন দুঃস্থ মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের পুষ্টিকর খাবার তিনি খাইয়ে চলেছেন বিগত ৫০ দিন ধরে। তার এই মহান কর্মকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল হতেই খুশি পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজনেরাও।

    অমরেশ বাবু পেশায় স্কুল শিক্ষক। তিনি জানান তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য পয়সার অভাবে কোন দুস্থ মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে। সেই কারণেই তার এই উদ্যোগ। শুধু তাই নয় পেট ভরা খাবার এর পাশাপাশি তিনি নজর রাখেন পুষ্টিকর খাবারের। তিনি বলেন অপুষ্টিকর কিংবা মশলাদায়ক খাবার স্বাদের জন্য ভালো হলেও তা শরীরের পক্ষে অতটা ভালো নয়, তার ওপর সেই সমস্ত খাবারগুলি খরচ সাপেক্ষও বটে। সেই কারণে প্রতিদিন তিনি পুষ্টিকর খাবারের দিকেই নজর রাখেন বেশি। এবং সেই সমস্ত খাবার খাওয়াতে খুব বেশি পয়সা খরচ করতে হয় না বলেও দাবি তার।তিনি জানান স্টেশন সংলগ্ন এলাকাতে প্রায় প্রতিদিন ১৭ থেকে ১৮ জন দুঃস্থ মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে তিনি রাতের বেলা পেট ভরিয়ে পুষ্টিকর খাবার খাইয়ে থাকেন। প্রতি জনাকে খাওয়াতে তার সর্বসাকুল্যে খরচ পড়ে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকার মধ্যে। তার খাবারের মেনুতে থাকে গরম ভাত, ডাল সেদ্ধ কখনও নানারকম শাক-সব্জি, কখনও পনিরের তরকারি, কখনও বা ডিম সেদ্ধ। একজন সাধারণ শিক্ষকের এমন কর্মকান্ডে উদ্ভূত হয়ে তার কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে এগিয়ে এসেছেন অনেক মানুষই।তিনি জানান সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশকিছু তার কর্মকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল হতেই সেখান থেকে বহু মানুষ এগিয়ে এসেছেন। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশ থেকেও তাকে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেক মানুষ। তিনি জানান এভাবেই প্রতিটা মানুষ তার পাশে দাঁড়ালে ভবিষ্যতে কোনও দু:স্থ মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকেই রাতের বেলা অভুক্ত হয়ে ঘুমোতে হবে না।