গ্রীষ্মকাল শুরু হতেই বীরভূমের বিভিন্ন হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কে লক্ষ্য করা যাচ্ছে রক্তশূন্যতা

নিজস্ব সংবাদদাতা : গ্রীষ্মকাল শুরু হতেই বীরভূমের বিভিন্ন হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কে লক্ষ্য করা যাচ্ছে রক্তশূন্যতা। এই পরিস্থিতিতে জরুরী অস্ত্রোপচার, থ্যালাসেমিয়া সহ বিভিন্ন রোগীরা ও তাদের পরিজনরা চরম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই অভাব অভাব অর্থাৎ গ্রীষ্মকালীন রক্ত সংকট মেটাতে এবার বাতানুকূল বাসের মাধ্যমে রক্ত সংগ্রহ করার কাজ শুরু হলো বীরভূমে। বীরভূম ভলেন্টিয়ার ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সহযোগিতায় চলমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে থাকে বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায়। একটি বাতানুকূল বাসের মাধ্যমে এই চলমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এই বাতানুকূল বাসে রয়েছে একসঙ্গে তিন জনের রক্তদান করার সুবিধা। এর পাশাপাশি রয়েছে রক্তদান করার আগে নাম নথিভুক্ত সহ অপেক্ষা করা এবং রক্ত দেওয়ার পর বিশ্রাম নেওয়ার ব্যবস্থা। এই চলমান বাসের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন জায়গায় এর আগেও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হলেও প্রথম রক্তদান শিবিরের আয়োজন হল সিউড়ির অজয়পুরের মানারপাড় গ্রামে। এদিন এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয় সিউড়ির রক্তদান আন্দোলনের সদস্যদের তরফ থেকে। এই গ্রামে এই রক্তদান শিবিরের আয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা এবং মোটিভেশন চালানো হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। স্থানীয় যুবকদের ব্যবস্থাপনায় এই ভ্রাম্যমাণ রক্তদান শিবির থেকে ৪০ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। এই সকল রক্তদাতাদের মধ্যে অধিকাংশ রক্তদাতাই প্রথমবার রক্তদান করলেন। এর পাশাপাশি এই রক্তদান শিবিরে মহিলাদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। বীরভূম ভলেন্টিয়ার ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি প্রিয়নীল পাল জানান, \”জেলাজুড়ে আমাদের সংগঠন ভ্রাম্যমাণ রক্তদান শিবির এবং তথাকথিত রক্তদান শিবিরে জোর দিচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন রক্ত সংকট মোচনে আগামী দুই মাস জেলাজুড়ে এরকম ভাবেই মাইক্রো লেভেলে এবং বড় করেও রক্তদান শিবির আয়োজন তারা করে যাবে।\”