সেহারাবাজারে জন সমুদ্রে পরিণত তিন দিনের পূর্ব বর্ধমান জেলা ইজতেমা, কান্না ভেজা কণ্ঠের দোয়ার শেষ হয়

এম এস ইসলাম, সেহারাবাজার : ২৯ শে ডিসেম্বর জনস্রোতের মধ্য দিয়ে, জুম্মার দিনে ৩০ হাজারের বেশির মানুষের উপস্থিতিতে শুরু হয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলা ইজতেমা। তিন দিন ধরে চলা ইজতেমার মূল উদ্দেশ্য পৃথিবীকে কি করে শান্তির আবাসস্থল করা যায় । মানুষের পাশে মানুষকে থাকতে হবে । জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে সুখে শান্তিতে পৃথিবীর মাটিতে বসবাস করবে । বিশ্ব স্রষ্টা মহান রাব্বুল আলামিন কি উদ্দেশ্যে ধরা ভূমিতে পাঠিয়েছেন সেটা জানা । পুরুষ নারী বাচ্চা সকলেই নিজে নিজে দায়িত্ব কিভাবে পালন করবে যে রূপরেখা মানবতার মূর্ত প্রতীক হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম নির্ণয় করে গেছেন। সেই আদর্শ আমাদের জীবনে কিভাবে প্রতিফলিত হবে তার সুন্দর ব্যাখ্যা দেন বাংলার মুরুব্বীরা। ৩১শে ডিসেম্বর রবিবার বেলা ১১ টায় বাংলার অন্যতম মুরব্বি হযরত মাওলানা শফি সাহেব দুয়া করেন। অশ্রুসিক্ত নয়নে সারা দুনিয়ার সকল শ্রেণীর মানুষের কল্যাণে ,যারা দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন তাদের রুহের মাগফিরাতের দুয়ার মাধ্যমে ইজতেমা পরিসমাপ্তি ঘটে ।হযরত মাওলানা আজিজ সাহেব, হযরত মাওলানা জিয়া সাহেব, হযরত আনিস সাহেব সহ বাংলার মুরুব্বীরা কুরআন ও হাদিসের হৃদয় গাহি আলোচনা করেন। শুক্রবার সেহারা বাজার হাই মাদ্রাসার সামনের প্যান্ডেলে হাজারেরও বেশি উলামা দের নিয়ে উলামাদের জোর অনুষ্ঠিত হয় ।সারা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ইংরেজি শিক্ষিত নও জওয়ানদের নিয়ে প্রাসঙ্গিক দায়বদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। ইজতেমার বিশেষ বৈশিষ্ট্য পূর্ব বর্ধমানের বেশিরভাগ উলামা হযরতদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি। হাজারেরও বেশি উলামা, বর্ধমান জেলার সকল মাদ্রাসা নায়েব ,মুহাদ্দিস ও উলামা হযরত দের উপস্থিতি এই তাবলিগী ইজতেমা অন্য মাত্র পাই। দারুল উলুম সেহারা বাজারের প্রতিটি শিক্ষক , হযরত এমনকি সাইখুল হাদিসরা প্রচুর মেহনত করেছেন ।মাদ্রাসার ছাত্ররা এবং কেশবপুর এলাকার শত শত কর্মী এবং রহমানিয়া আলামিন মিশনের ছাত্ররা মিলিত হয়ে ইজতেমা সাফল করতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন । এই ইজতেমার মূল দায়িত্বপ্রাপ্ত হাজী কুতুব উদ্দিন সাহেবের সবাই প্রশংসা করলে হাজী কুতুব উদ্দিন সাহেব বলেন সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জন্য । আল্লাহর তৌফিক ছাড়া কোন ভালো কাজ করা সম্ভব নয়।ব্যাপক বৃষ্টির জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় প্যান্ডেল করা যায়নি ।এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে মাদ্রাসা মিশনের ছাত্ররা ও শিক্ষকেরা কেশবপুর হালকার সাথীরা জানতর মেহনত করেছেন। এলাকার নারী পুরুষ যেভাবে ভাবে নামাজ-রোজা সদকা ও দোয়ায় সামিল হয়েছেন তার কর্মফলই আল্লাহর খাস রহমতে কয়েক লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে এই ইজতেমা সাফল্য লাভ করে। ইজতেমা তে কুড়িটি হালকার সকল জিম্মাদার সাথী প্রাণপণ পরিশ্রম ও হাজীদের দুয়া ছিল এই অনুষ্ঠানের জন্য । হাজী কুতুব উদ্দিন সাহেব বলেন আল্লাহপাক যেন সকল খিদমত কারিদের উত্তম বদলা দান করেন। হাজি কুতুবুদ্দিন পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ ,খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ ,রায়না থানা ও সেহারা ট্রাফিক পুলিশ , খন্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িতে দিয়েছেন তাদের প্রতি অসংখ্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।