আইএসসি-তে ৯৯.৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে মেধাতালিকায় গোটা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছেন শুভদীপ সরকার

নিজস্ব সংবাদদাতা : রবিবার বিকেল থেকে উদযাপনের মেজাজ রানাঘাটের (ranaghat) ভাংড়াপাড়ায়। আইএসসি (ISC) পরীক্ষায় মারকাটারি রেজাল্ট করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দা শুভদীপ সরকার। গর্বে আর আনন্দে খুশির হাওয়া গোটা অঞ্চলে। আইএসসি-তে ৯৯.৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে মেধাতালিকায় গোটা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় (Second) স্থান দখল করেছেন তিনি।মেধাতালিকা ও rank অবশ্য কখনওসখনও বিভ্রান্তিকর। কিন্তু যেটা জলের মতো স্পষ্ট, তা হল শুভদীপের মেধা। ইংরেজিতে ৯৯,অঙ্কে ১০০,বায়োলজিতে ১০০,কম্পিউটার সায়েন্সে ৯৯,পদার্থবিজ্ঞানে ৯৮ ও রসায়নে ৯৭ নম্বর পেয়েছেন তিনি। চোখধাঁধানো রেজাল্টের জন্য কি দিনরাত এক করে লেখাপড়া করতেন নদিয়ার রানাঘাটের কনভেন্ট অফ জেসাস মেরি স্কুলের ছাত্র? উত্তরটা মোটেও চেনা নয়। বললেন, ‘ঘড়ি ধরে পড়াশোনা করা বলতে যা বোঝায় সেটা কখনওই করিনি। যখন যেমন প্রয়োজন মনে হত,তখন সেই মতোই পড়াশোনা করেছি।’পাশাপাশি চলেছে ভালোবাসার আরও কিছু কাজকর্মও। যেমন ছোট গল্প লেখা, নাটক লেখা ও মঞ্চস্থ করা। সিন্থেসাইজার বাজাতেও ভালোবাসেন শুভদীপ। সেটাও বাদ দেননি। এর পর কী? কৃতী পড়ুয়ার বাবা সুদীপ্ত সরকার পেশায় চিকিৎসক। ছোটবেলা থেকে বাবাকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখে আসছেন শুভদীপ। একই পথে হাঁটতে চান তিনিও। সেই লক্ষ্যেই তোড়জোড় চলছে। মা শুক্লা সরকার ছেলেকে উৎসাহ ও সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছেন নিরবচ্ছিন্ন ভাবে। আইএসসি-র রেজাল্ট সেই লক্ষ্যজয়ে অক্সিজেন তো বটেই, মানছে রানাঘাট পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংড়াপাড়ার এক বহুতল আবাসনের বাসিন্দা, সরকার পরিবার। দাদাকে এত মাতামাতির কারণটা খুব ভালো ঠাওর করে উঠতে না পারলেও শুভদীপের বোন, প্রথম শ্রেণির ছাত্রী সুপ্রভাও খুব খুশি। আনন্দের পরিবেশ অর্কজ্যোতি দে-র বাড়িতেও। কনভেন্ট অফ জেসাস মেরি স্কুলেরই ছাত্র অর্কজ্যোতি আইএসসি পরীক্ষায় ৯৯.২৫ নম্বর শতাংশ পেয়েছেন। মেধাতালিকার হিসেবে তিনি তৃতীয় স্থানে। পাশাপাশি কল্যাণী জুলিয়ান্ট ডে স্কুলের অনুরাগ সরকার ও কৃষ্ণনগর বিশপ মরো স্কুলের ধ্রুবজ্যোতি সরকারও সর্বভারতীয় স্তরে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। তাঁদেরও প্রাপ্ত নম্বর ৯৯.২৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে উদযাপনের মেজাজ নদিয়ায়।