সোনা পাচার চক্রের পান্ডাদের গ্রেপ্তার করল এসটিএফ এবং সিঁথি থানার যৌথ টিম, উদ্ধার ৪১ লক্ষ টাকার সোনার বিস্কুট ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি নোট

নিজস্ব প্রতিনিধি : ৬ নভেম্বর, গোপন সূত্র মারফত খবর এসেছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের কাছে। দমদম মেট্রো স্টেশন চত্বরের আশপাশে বিদেশি নোটের বিনিময়ে হাতবদল হবে বিপুল পরিমাণ চোরাই সোনা। খবর পাওয়ার পরে, বেলা ১টা নাগাদ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং সিঁথি থানার যৌথ টিম পৌঁছে যায় দমদম মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন সাউথ সিঁথি রোডের নির্দিষ্ট এলাকায়। শুরু হয় নজরদারি।
ঘড়ির কাঁটা যখন ২টো ছুঁইছুঁই, একজনকে শনাক্ত করে সোর্স। কিছুক্ষণের মধ্যেই নীল স্কুটিতে চেপে অকুস্থলে প্রবেশ করে আরও ২ জন। শুরু হয় কথাবার্তা। এরাই যে সোনা পাচারের মূল চক্রী, নিশ্চিত হওয়ার পর আর অপেক্ষা করেননি এসটিএফ এবং সিঁথি থানার অফিসারেরা। দ্রুত চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলা হয় তাদের। পালাতে পারেনি কেউই।
শুরু হয় তল্লাশি। নীল স্কুটির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ১০টা সোনার বিস্কুট। মোট ওজন ১১৩৩ গ্রাম। বাজারদর কমপক্ষে ৪১ লক্ষ টাকা। এছাড়াও তৃতীয় ব্যক্তির জিম্মা থেকে উদ্ধার হয় ১০০ মার্কিন ডলারের মোট ৩০০টি নোট। সবমিলিয়ে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়াও, কিছু বাংলাদেশি টাকার নোটও উদ্ধার হয় তার জিম্মা থেকে।
নিরঞ্জন চক্রবর্তী, সুশান্ত ধর এবং সাজু মহলাদার—ধৃত তিনজন বেশ কিছুদিন ধরে যুক্ত সোনার পাচারের সঙ্গে। চক্রের উৎস বাংলাদেশে। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে চোরাই সোনা এনে বিক্রি করা হত কলকাতায়। তার বদলে মিলত মার্কিন ডলার। সেই ডলার ফের পৌঁছে যেত বাংলাদেশের সোনা পাচারকারী চক্রের কাছে। কলকাতায় চোরাই সোনা নিয়ে আসা এবং বিদেশি টাকা ফের বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়ার কাজটাই করত সুশান্ত ধর এবং সাজু মহলাদার মিলে। নিরঞ্জন চক্রবর্তীর দায়িত্ব ছিল মার্কিন ডলারের বিনিময়ে সেই সোনা কিনে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেওয়া।
জেরা চলছে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিরাও ধরা পড়বে দ্রুতই।