বিজেপি সরকারের বাঙালি হিন্দু ম্যেকি দরদ নিয়ে প্রশ্ন

বিপাকে বাঙালি হিন্দু, অসমে আতঙ্কের পরিবেশ, বাড়তে পারে আত্মহত্যা

    বড়ভূইয়া, আসাম: এক সময় বাংলাদেশী ইস্যুকে পুঁজি করে রাজনৈতিক কার্ড খেলে ভোটের মাঠে স্বার্থ আদায় করতেন রাজনৈতিক নেতারা, প্রতি ভোটে ছিল বাংলাদেশী ইস্যু, ভোট বৈতরণী পার হওয়ার জন্য যা ছিল যথেষ্ট। অনেকে আবার, অসমকে মিনি বাংলাদেশ বলে প্রচার করে নিজের রাজনৈতিক ভিত শক্তিশালী করেছিলেন। দেরীতে হলেও দীর্ঘ যুগ পর যা মিথ্যা প্রমাণিত হলো নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে এমন মত ব্যক্ত করেন, এআইইউডিএফ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র করিম উদ্দিন বড়ভূইয়া(সাজু)।
    উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হচ্ছে, যে বিজেপি সরকার হিন্দুত্বের তাস খেলে ক্ষমতায় এসেছে, সেই সরকারের আমলে বাঙালি হিন্দুদের অবস্থা বেশ শোচনীয় হয়ে উঠলো। টেনশন বেড়ে গেল, এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়লেন পাইকারিহারে, যদিও এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়া উনিশ লক্ষের মধ্যে প্রকৃত ভারতীয়দের সংখ্যা কত, তা এখন নির্ধারণ করবে ট্রাইবুন্যাল। বিশেষ করে বিজেপি সরকারের বাঙালি হিন্দু ম্যাকি দরদ নিয়ে অসমজুড়ে প্রশ্ন উঠছে, এনআরসি তালিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি সরকারের আসল রূপ প্রকাশ পেয়েছে এবং দীর্ঘদিন ধরে বাঙালি হিন্দু নিয়ে বিজেপি সরকার ছেলে খেলা করেছিল তা এখন প্রমাণিত হয়েছে বলে ঝুঁড়িঝুঁড়ি অভিযোগ উঠছে।
    এদিকে উনিশ লক্ষ প্লাস এনআরসি ছুটদের বর্তমানে প্রায় অর্ধ শতাদিক ডকুমেন্ট জোগাড় করে ট্রাইবুন্যালে উঠতে হবে। বেশি সংখ্যক আবার আর্থিকভাবে দুর্বল, এদের কি হবে তা আগাম বলা মুশকিল।ট্রাইবুন্যাল না হলে হাইকোর্ট শেষ ভরসা সুপ্রিমকোর্ট, এতে পর্যন্ত পর্যাপ্ত ডকুমেন্টেসহ বিভিন্ন কারণে অনেক প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশী তকমা জুটতে পারে এমন সম্ভাবনা ও রয়েছে।
    শেষ পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়লে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আর ট্রাইবুন্যালে উতরে যাওয়া এখন পর্যাপ্ত ডকুমেন্ট এবং ভাগ্যের ওপর নির্ভর করবে। একাংশ ডুকুমেন্ট জোগাড় করলেও বিভিন্ন ত্রুটির কারণে আবার বাদের খাতায় পড়তে পারেন অনেকেই। বিশেষ করে রাজ্যজুড়ে এনআরসি ছুটদের মধ্যে এক আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
    প্রাপ্ত সূত্রের খবরে জানাগেছে, চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়াদের মধ্যে অনেকে আবার মানসিক রোগে ভোগছেন।