|
---|
বাবলু হাসান লস্কর, সুন্দরবন : ভ্রমণপিপাসু মানুষদের কাছে শীত মানেই আলাদা এক অনুভুতি। আর শীত পড়তে না পড়তেই পর্যটকদের আসার প্রবণতা বাড়ছে সুন্দরবনের একাধিক প্রবেশদ্বারে। বিগত দু’বছর ধরে করোনা নামক মারণব্যাধীর প্রকোপে গৃহবন্দী থাকার পর অবশেষে মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করতে পারায় উৎফুল্ল পর্যটক। একাকিত্বের করুন যন্ত্রনা পর মুক্তির স্বাদ পাওয়া এক আলাদা অনুভূতি। কর্মসূত্রে সাধারণ মানুষের পরিষেবা দেওয়ার কারণে মারোণ ব্যাধি করোনা স্পর্শ করায় পরিবার থেকে নির্জনে সময় কাটাতে হয়েছে দীর্ঘ সময়। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা ব্যক্তির কাছে এই মুহূর্ত এক আলাদা অনুভূতি। পরিবার থেকে নির্জন স্থানে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছে ১৪ দিন কিম্বা তার অধিক দিন,আর ওই সময়টুকু একাকিত্বের দুর্বিষহ যন্ত্রনা থেকে এই মুহূর্তে মুক্তির স্বাদ পাওয়া মানুষজন একটু অবসর কিম্বা বিনোদনের মুহূর্তে দলে দলে আসছেন সুন্দরবন ভ্রমণে। বিগত দুই বছর যাবত কাল ধরে বাস ও ট্রেন কিম্বা পরিবহন বন্ধ থাকায় বাহিরে যাওয়ার নামই তাদের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছিল। আর এই দুর্বিষহ যন্ত্রণার প্রলেপ দিতে কর্মব্যস্ততার অবসর সময়ে বেড়ানো। দীর্ঘ সময়ে গৃহবন্দী মানুষের মনের মধ্যে জড়তার সৃষ্টির পর, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একে অপরের পৃথক অবস্থায় থাকার পর একটু স্বস্তি নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে মানুষজন। করোনা বিধি লাঘব হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ট্রেন বাস থেকে পরিবহন মাধ্যমগুলি এই মুহূর্তে সচল হওয়ায় পর্যটন দপ্তর লাগোয়া এলাকা গুলিতে দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে। আর এই শীতের আমেজে ভ্রমণ পিপাসু মানুষজন- বিশেষ করে সুন্দরবন বলেই তো কথা, যেখানে বাঘ হরিণ এবং বন্যপ্রাণী জীবজন্তু দেখার প্রবণতাতো আছে। সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেখা তো ভাগ্যের ব্যাপার। প্রতিটি মুহূর্ত পর্যটকদের ক্যামেরায় বন্দি হচ্ছে সেই সুন্দর দৃশ্য। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের তো বটেই। সুন্দরবনের বিট অফিস গুলি থেকে বৈধ পাস নিয়ে একের পর এক ছোট বড় জলযান নিয়ে বেড়াতে আসা। সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে শীত পড়লে লোকালয়ে দেখা মেলে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার। বাঘ মামার দেখার জন্য উদগ্রীব পর্যটক।