সুন্দরবনের ঢোলাহাট কলেজে বদলি হলেন রূপান্তরিত অধ‍্যক্ষ মানবী

নবাব মল্লিক, মন্দিরবাজার: তিনি রাজ্যের প্রথম রূপান্তরকামী অধ্যাপিকা। বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়ে না। কাজের সূত্রে তাকে জঙ্গলমহল থেকে সুন্দরবনে আসতে হয়েছে। আর এই স্থান বদলকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন অধ্যাপিকা মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি ঢোলাহাট কলেজের অধ্যক্ষ। চলতি সপ্তাহে তিনি কাজে যোগ দিয়েছেন সুন্দরবনের এই কলেজে। মঙ্গলবার কলেজের পড়ুয়ারা অধ্যক্ষকে সংবর্ধিত করলেন। খুব ছোট অনুষ্ঠানে কলেজের পড়ুয়ারা ফুলের স্তবক দিয়ে অধ্যক্ষকে বরণ করে নেন। এই সংবর্ধনায় আপ্লুত মানবী।
এক সময় জঙ্গলমহল থেকে তিনি অধ্যাপনা শুরু করেছিলেন। তঁার এই পথে ফুল ছড়ানো ছিল না। তঁাকে অনেক হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। জঙ্গলমহলের পর তিনি কৃষ্ণনগর কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগ দেন। কিন্তু কলেজের অন্য অধ্যাপক, অধ্যাপিকাদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন একাধিকবার। কলেজে অচলাবস্থা তৈরি হয়। কার্যত কলেজ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। এরপর ঢোলাহাট কলেজে তাঁকে বদলি করা হয়। অনেকেই এই বদলিকে শাস্তি বলে মনে করেন। কিন্তু মানবী তা মানতে রাজি নন। তিনি এই কলেজকে স্বপ্নের কলেজ হিসেবে গড়ে তুলতে চান। এদিন তিনি বলেন, ‘‌আমার কাছে সব কাজটাই চ্যালেঞ্জ। যখন এই কলেজে আমাকে বদলি করা হল, তখন অনেকেই আমাকে শাস্তির বদলি হিসেবে দেখাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি তা মনে করি না। জঙ্গলমহলে কাজ করেছি। এবার সুন্দরবনের সংখ্যালঘু এলাকাতেও কাজ করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। এখানকার পড়ুয়া ও মানুষজন খুব আন্তরিক। আমি দলগত কাজে বিশ্বাস করি’।