অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডার সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর কথা হয় বাংলায় ৩৫৬ ধারার প্রয়োগ নিয়ে

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ৪০ মিনিটের রুদ্ধদ্বার বৈঠক। মঙ্গলবারের পর ফের বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বৈঠক। বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অবশ্য দাবি, সৌজন্য সাক্ষাৎ। কিন্তু রাজ্যে ভোট-পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করতে রাজ্য সভাপতির বৈঠক ছেড়ে দিল্লিতে শুধুমাত্র সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য তিনি যাবেন, তা অবশ্য বিশ্বাস করতে নারাজ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, অমিত শাহ এর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে কথা হয়েছে শুভেন্দুর। অর্থাৎ বাংলায় কীভাবে ৩৫৬ ধারা লাগু করা যায়, এদিনের বৈঠকে তারই রোডম্যাপ তৈরি করা হতে পারে।

    শুভেন্দু অধিকারীকে গত সোমবার রাতারাতি দিল্লিতে তলব করা হয়। তিনি মঙ্গলবার তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কথা হয় বাংলায় ৩৫৬ ধারার প্রয়োগ নিয়ে। বৈঠক শেষে শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, ‘কোনও রাজ্যে যতটা আইনশৃঙ্খলা অবনতির জন্য ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করতে হয়, বাংলায় তার অনেক বেশি অবনতি হয়েছে।’ অর্থাৎ রাজ্যে যখন করোনা ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার নিরলস প্রচেষ্টা করে চলেছে, তখন বিরোধী দলনেতা দিল্লীতে বসে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলছেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ৪০ মিনিট ধরে বৈঠক করেন। কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা অবশ্য বলতে রাজি হননি দুঁদে এই রাজনীতিবিদ।

    এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। মঙ্গলবারই এক দফা শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন শুভেন্দু। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও একটি বৈঠক। রাজনৈতিক কারবারিদের মতে, করোনা, যশ তো রয়েইছে। তার ওপর রাজ্যে গত দু’দিনে বজ্রাঘাতে মৃতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তাঁর বিরোধী নেতা হিসেবে পরিচিত শুভেন্দু দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ সারছেন। আসলে, রাজ্য তো বটেই সারা দেশেই বিজেপির জনপ্রিয়তা ক্রমশ তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। আগামী বছরে উত্তরপ্রদেশের মতো বড় রাজ্যে রয়েছে বিধানসভার ভোট। তারপরেই ২০২৪ লোকসভা। সেই লক্ষ্য নিয়েই ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যা বিজেপির আকাশে আশঙ্কার মেঘ ডেকে আনছে। যেটা আগাগোড়াই জানতেন নরেন্দ্র মোদি। আর তাই বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে পর্যুদস্ত করতে চেয়েছিলেন তিনি। বরং মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যঙ্গাত্মকভাবে ডেকে বাংলার মানুষের জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে না দমালে ‘২৪-এর নির্বাচন ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠতে পারে। ওয়াকিবহল মহলের ধারণা, তা আঁচ করেই ২০২৪-এর আগে যেন-তেন প্রকারে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে চাইছে বিজেপি।