|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: রাজবাড়ি এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয় মঙ্গলবার। তাঁকে ঘিরে কটুক্তি করা হয় বলেও অভিযোগ। ওঠে ” শুভেন্দু অধিকারী গো ব্যাক” স্লোগান। অভিযোগের তির তৃণমুল কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ অবশ্য তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের রাস্তাতেই আটকে দেয়। পালটা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে থাকে বিজেপি কর্মীরা। এরপর শুভেন্দু অধিকারী দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন, বেশ কিছুক্ষন থাকার পর বেরিয়েও যান তিনি।
এরপর দ্বিতীয় দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় তমলুকের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শঙ্করআড়া বাসপুল এলাকায় ফের বিক্ষোভের মুখে পড়েন শুভেন্দু। তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক এর বাড়িতে সাংগঠনিক বৈঠক ছিল। শুভেন্দু পৌঁছতেই বাইরে রাস্তার ওপর রীতিমতো মাইক বাজিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূল সমর্থকরা। হলদিয়া-মেছেদা রাজ্য সড়কের ওপর শংকরআড়া এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ চলে এই বিক্ষোভ।
অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের পদ থেকে মঙ্গলবারই অপসারিত হন শুভেন্দু অধিকারী। দীর্ঘ চার মাস বিজেপি বিধায়ক ব্যাঙ্কে অনুপস্থিত, এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে ব্যাঙ্কের ডিরেক্টরদের একাংশ। এ নিয়ে ভোটাভুটি হয়। তাতে ব্যাঙ্কের ১৮ জন ডিরেক্টরের মধ্যে ১০ জন শুভেন্দুর বিপক্ষে ভোট দেন। বাকি ৮ জন ডিরেক্টর ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত ছিলেন। কাঁথি কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের ভাইস চেয়ারম্যান চিন্তামণি মণ্ডলকে প্রাথমিকভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
রবিবারও পাঁশকুড়ায় এক দলীয় নেতার বাড়ি থেকে ফেরার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই আক্রান্ত হলেন কয়েকজন বিজেপি কর্মীও। অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূলের দিকে।স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকেই এলাকায় গন্ডগোল চলছে। ওইদিন দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে আক্রান্ত হন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া পাঁশকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুকুমার ভুঁইয়া।
তখনও অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই খবর পেয়ে, রবিবার সন্ধেয় কাউন্সিলরের বাড়ি যান শুভেন্দু অধিকারী। ফেরার পথেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন শুভেন্দু। যদিও গন্ডগোলের নেপথ্যে তাদের দলের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেছে তৃণমূল।