অভিষেককে ডায়মন্ড হারবারে পরাজিত করার অঙ্গীকার শুভেন্দু-নওশাদের

দেবজিৎ মুখার্জি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বছর শেষ হলেই লোকসভা নির্বাচনের বাদ্যি বাজবে। রাজ্যের ৪২ আসনে ধুন্ধুমার লড়াইয়ের প্রস্তুতি চলছে এখন থেকেই। শাসক হোক কিংবা বিরোধী, যে একাধিক লোকসভা আসনে বাড়তি নজর, তার মধ্যে অন্যতম ডায়মন্ড হারবার। এই কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জিতে দুবারের সাংসদ হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও সম্ভবত তিনিই প্রার্থী হবেন। আর তাঁকে নিজের কেন্দ্রে হারাতে তথাকথিত ‘হিন্দুত্ববাদী’ দলের অন্যতম মুখ কিন্তু সংখ্যালঘু প্রার্থীর হাত ধরতেও পিছপা হচ্ছেন না। শনিবার শুভেন্দু অধিকারীর মুখে শোনা গিয়েছিল, ”ডায়মন্ড হারবারে ভাইপোকে হারাব। অন্য লোককে দাঁড় করিয়ে হারাব। বিজেপিকে জেতাব।” আর রবিবার এক সংবাদমাধ্যমে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি সাফ জানালেন, দল অনুমোদন দিলে তিনি ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থী হিসেবে লড়বেন। বর্তমান সাংসদকে প্রাক্তন করার চ্যালঞ্জ ছুঁড়লেন নওশাদ।

    রবিবার এক সাক্ষাৎকারে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “আমি ডায়মন্ড হারবারের বর্তমান সাংসদকে প্রাক্তন সাংসদ বানাব। দল অনুমোদন দিলে আমি ডায়মন্ড হারবার থেকে লোকসভা ভোটের জন্য লড়াই করব। বলা হয়, ডায়মন্ড হারবার মডেল। তবে পঞ্চায়েত ভোটের সময় আমরা দেখতে পেলাম ডায়মন্ড হারবার মডেল কী?” তাঁর কথাতেই স্পষ্ট, নিশানায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটের আগেও একবার ডায়মন্ড হারবারে প্রচার করতে গিয়ে নওশাদ সেখান থেকে নির্বাচনী লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। জনতার সমর্থন চাইতে প্রশ্ন তুলেছিলেন, ”আমি এখান থেকে দাঁড়ালে আপনারা সমর্থন দেবেন তো?” রবিবার সেই চ্যালেঞ্জই আরও জোরদার সুরে জানালেন তিনি।

    উল্লেখ্য, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অনেক এলাকা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। মগরাহাট, উস্তি, মেটিয়াবুরুজ, মহেশতলা – এই সমস্ত এলাকায় নওশাদ ভালো সমর্থন পাবেন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। তবে কি চব্বিশের নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বনাম নওশাদের লড়াই দেখতে হবে? আর এই লড়াইয়ের নেপথ্য নায়ক হতে চলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা? শনিবার শুভেন্দু ও রবিবার নওশাদের বক্তব্য সেই ইঙ্গিত সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে।