‘উপসর্গহীন ভাইরাস’, ‘নারদায় কে টাকা নিয়েছে-তোলাবাজ তুমি’, নাম না করে শুভেন্দুকে তোপ অভিষেকের

‘উপসর্গহীন ভাইরাস’, ‘নারদায় কে টাকা নিয়েছে-তোলাবাজ তুমি’, নাম না করে শুভেন্দুকে তোপ অভিষেকের

     

     

     

    নতুন গতি ডিজিটাল ডেস্ক : বিরোধীদের আক্রমণের জবাব দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়। বিজেপিতে যোগ দিয়েই ‘তোলাবাজ ভাইপো হঠাও’ এর ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই কটাক্ষের জবাব নিজের কেন্দ্রে দাঁড়িয়েই শুভেন্দুকে দিলেন অভিষেক। রাজ্যের দলত্যাগী প্রাক্তন মন্ত্রীকে ‘উপসর্গহীন ভাইরাস’ বলে তুলোধনা করলেন যুব তৃণমূল সভাপতি।

     

    কী বললেন অভিষেক…

    * ‘এই মাঠে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার সভায় কত লোক হয়েছিল। বড়জোর ৪৫০-৫০০। কিন্তু একই মাঠে আজ তিল ধারণের জায়গা নেই। তাই ঘাটতি ঢাকতেই কনভয়ে হামলার অভিযোগকে বড় করে দেখানো হচ্ছে।’

    * ‘যাঁরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল তাঁরাই ওই কনভয়ে ছিল বিজেপি সভাপতির সঙ্গে। তাই মানুষের রাগের বহিপ্রকাশ ঘটেছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকেই কনভয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে ইঁট মেরেছে দু-একটা। আমি বলব, ক্ষোভ থাকল ইঁট মেরে নয়, ইভিএমে জবাব দিন।’

    * ‘সাংসদের প্রাপ্ত টাকা বন্ধ করে দিয়েছে মোদী সরকার। আমি বলছি যতদিন সাংসদ থাকব, ততদিন বেতন নেব না, কিন্তু কেন্দ্রীয় তহবিল বন্ধ করা চলবে না।’

    * ‘নারদায় খবরের কাগজে মুরি দিয়ে টাকা নিয়েছো তুমি। সারদা-নারদায় তোমাকে দেখা গিয়েছে। আমাকে টাকা নিতে দেখা যায়নি। তাহলে কিভাবে বলছো তোলাবাজ ভাইপো। ‘

    * ‘আমাকে ঘুষ খেতে দেখা যায়নি। তাই আমাকে ইডি-সিবিআই দিয়ে ভয় দেখাতে পারবেন না। আগে প্রমাণ করতে হবে আমি তোলাবাজ। আমি বেইমানি করি না। গলা কেটে নিলেও বেরোবে মমতা ব্যানার্জী জিন্দাবাদ। আমার তোলাবাজি প্রমাণ করতে পারলে ফাঁসিতে মৃত্যু বরণ করব।’

    * ‘আমিও মানুষ-তুমিও মানুষ। তফাৎ শুধু মেরুদণ্ডের। চার বছর মন্ত্রীত্ব ভোগ করে এখন বেইমানি মানুষ মেনে নেবে না।’

    * ‘দলে থেকে তুমি ২০১৪ থেকে তোমার সঙ্গে অমিত শাহের আলাপ করেছিলে। বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ। তাহলে কে ভাইপো? অমিত শাহের ছেলে? তুমি উপসর্গহীন ভাইরাস। চলে গিয়ে ভালো হয়েছে। তৃণমূল ভাইরাসমুক্ত হয়েছে।’

    * ‘২০১৪-তে উনি অমিত শাহর কাছে গিয়ে বলেছেন তলায় তলায় বিজেপির হয়ে কাজ করব। এটাই উপসর্হগীন ভাইরাসের লক্ষ্যণ। ১৯ সালের লোকসভায় সৌমিত্র খাঁ বলে দিয়েছেন উনিই বিষ্ণুপুরে ওকে জিততে সাহায্য করেছে। আর বাকিটাতো ওনার স্ত্রীই আমাকে বলেছে। সুতরাং কে কি করছেন সব জানা আছে।’

    * ‘বলছেন, তৃণমূল করেছি বলতে লজ্জা লাগে। আরে তোমার বাবা-ভাই তো তৃণমূল করছে। তাঁদের ভাঙিয়ে নিয়ে যেতে পারলেন না। নিজের বাড়িতে পদ্ম ফোটাতে পারেন না, ওরা আবার নাকি বাংলায় পদ্ম ফোটাবে।’

    * ‘অনেকেই বলছে মমতা ব্যানার্জী ১৯৯৮ সালে বিজেপির হাত ধরেছিল। হ্যাঁ ধরেছিল। ওটা বাজপেয়ীর বিজেপি ছিল। সেই সময় ২০০২-এর রক্ত ছিল না। সেই বিজেপির সঙ্গে এখনকার বিজেপির অনের তফাৎ। মমতার দম আছে বলেই কংগ্রেসের থেকে তিরঙ্গা পতাকা ছিনিয়ে দল গড়েছে। সিপিএমকে হঠিয়েছে। দম থাকলে তোমরাও করে দেখাও। আদর্শের লড়াই জিতে দেখাও।’

    * ‘বলছে বাংলা নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দিতে হবে। বাংলাটা কী আলু, পিঁয়াজ নাকি জয়নগরের মোয়া? বাংলা কী একটা বস্তু? এক বাপের বেটা হলে ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়া। এখানকার যেকোনও সাতটার মধ্যে একটাও বিজেপি জিতে দেখাক।’