|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষীকান্তপুর : দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার ব্লকের লক্ষীকান্তপুর আখড়াবেড়িয়া তাজবিদুল কুরআন ও দিনিয়াত মুনাজ্জাম মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হলো প্রজাতন্ত্র দিবস। আমাদের সকলের কাছে বছরের বেশ কিছুদিন গুরুত্বপূর্ণ তেমন একটি দিন হল 26 শে জানুয়ারি তথা প্রজাতন্ত্র দিবস। নেতাজি জন্মজয়ন্তীর পরপরই এই দিনটি ঘিরে আমাদের সকলের দেশাত্মবোধ উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে প্রত্যেক ভারতীয়দের। এই দিনটি অসীম তাৎপর্য। দেশের নানা প্রান্তে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আর কুচকাওয়াজের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে এই দিনটি পালিত হয়। এই দিনটি শহর শহরতলী থেকে গ্রামের সমস্ত জায়গায় এটি পালিত হয়। ঠিক সেই মতো তাজবিদুল কুরআন মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হলো এই প্রজাতন্ত্র দিবস। এদিনের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও ভারত স্বাধীনদের মাল্যদান প্রভাত ফেরি থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়, স্থানীয় দর্শক ছিল চোখে লাগার মতো।
এদিনে উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রেসিভ ইউথ ফাউন্ডেশন এর রাজ্য সম্পাদক ও শিক্ষক জাকির হোসেন মোল্লা তিনি প্রজন্ততন্ত্র দিবস নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী ২৬ শে জানুয়ারি কে নাম দিয়েছিলেন স্বতন্ত্র তা সংকল্প দিবস। পন্ডিত জহরলাল নেহেরুর নেতৃত্বে ১৯২৯ সালের শেষের দিকে পূর্ণ স্বরাজ আনার শপথ নেওয়া হয়েছিল এর পরই ১৯৩০ সালের ২৬ শে জানুয়ারি এই দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস বলে ঘোষণা করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত এটি কার্যকর হয়নি। ১৯৪৭ সালে ২০০ বছরের স্বাধীনতা ঘুচিয়ে ভারত যখন ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা অর্জন করে ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের মর্যাদা পায়। যার জন্য ২৬ শে জানুয়ারির তারিখের তাৎপর্য বদল আসে। স্বাধীনতা অর্জন ১৯৪৭ সালে হলেও তখনও সংবিধান তৈরি হয়নি। প্রায় আড়াই বছর পর হল পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তম সংবিধান ভারতের সংবিধান। ১৯৫০ সালের ২৬ শে জানুয়ারি কার্যকর করা হলো দেশের সংবিধান সেই থেকেই ২৬ শে জানুয়ারিকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই অনুষ্ঠান থেকে তিনি সম্প্রীতির বার্তাও দেন।
এছাড়া এই দিনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক নাজমুস শাহাদাত মাওলানা ওবায়দুল্লাহ মাদ্রাসার সম্পাদক কারী শফিউদ্দিন জনাব সাজিদ আলী খান জনাব সানোয়ার শাহ ইব্রাহিম শাহ নাসির উদ্দিন মোল্লা ফারুক শা ইমরান শাহ জাহান শাহ মাদ্রাসার ও স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।