|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্যজুড়ে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। সূর্যের তাপে কাল ঘাম ছুটছে আমজনতার গরম থেকে বাঁচতে কারও মাথায় ছাতা, কারও আবার হাত-মুখ কাপড়ে ঢাকা৷ দিনের বেলায় রাস্তায় বেরোলেই এই ছবি ধরা পড়ছে ক্যামেরায়৷ সূর্যের দাবদাহ থেকে বাদ পড়েননি হুগলিবাসীও। মঙ্গলবার হুগলির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোদের তেজে ঘরবন্দী সাধারণ মানুষ। তবে পেটের তাগিদে অনেকে ঘর থেকে বেরিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছেন৷ ফলে কষ্ট থেকে রেহাই পেতে এক পশলা বৃষ্টির অপেক্ষায় চাতক পাখির মতো চেয়ে সাধারণ মানুষ। জেলায় জেলায় তাপপ্রবাহে নাজেহাল আমজনতা৷ আরও কয়েকটা দিন এই পরিস্থিতি থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর৷
আবহাওয়াবিদদের মতে তীব্র দাবদাহ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হল কালবৈশাখী। তাই কালবৈশাখীর দিকে চেয়ে রয়েছে রাজ্যবাসী৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে, কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে এই মুহূর্তে বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। এরই মধ্যে কোনও কোনও জেলায় তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪৩ ডিগ্রি৷দাবদাহে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। স্কুল কলেজগুলোর সময় পরিবর্তন করার মতন নির্দেশও দিয়েছে নবান্ন। তীব্র গরম থেকে বাঁচার জন্য বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করার নির্দেশিকাও জারি হয়েছে, যেমন, রাস্তায় বেরোলে মাথায় ছাতা বা টুপি পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ‘লু’ থেকে বাঁচার জন্য হাত মুখ ঢেকে বাড়ি থেকে বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাইরে বেরোলে, সঙ্গে জলের বোতল রাখা অত্যাবশ্যক। এছাড়া গ্লুকোজ যুক্ত জল পান করার পরামর্শ দিয়েছে সরকার।