মোদী ঠাকুরনগরে নাগরিকত্ব বিলের তাস খেলে সুক্ষ ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করে গেলেন

নিউজডেস্ক,নতুন গতি :

    লোকসভার ঢাকে কাঠি পড়তেই বাংলাকে পাখির চোখ করেছেন নরেন্দ্র মোদী সহ কেন্দ্রীয় বিজেপি মন্ত্রীরা । তার কারন বাংলায় লোকসভায় ৪২টি আসন আছে, আর গত লোকসভায় তৃনমূল ৩৮ আসন পেয়েছিল। আর সেখানেই লক্ষ বেঁধে দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি রাজ্য বিজেপিকে ২৩টি আসন পেতেই হবে। তাই দফায় দফায় বিভিন্ন উচ্চপদস্থ আমলা মন্ত্রী বাংলায় আসছেন এবং 2019 লোকসভার ঘুঁটি সাজাচ্ছেন।আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিএম কংগ্রেস ও বাদ যায়নি । কংগ্রেসের 70 বছর আর বাংলায় সিপিএমের 34 বছর দেশের এবং বাংলার একটি অন্ধকারময় যুগ ছিল এটাই তারা হাতিয়ার করে বারে বারে মানুষের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন । যদিও নিজেদের 5 বছরের কার্যকালে তাদের প্রতিশ্রুতি এবং তার বাস্তব ফলাফলের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়ে গেছে । শিক্ষা স্বাস্থ্য চাকরি প্রশাসন সুরক্ষা অর্থনীতি সবদিক থেকেই প্রশ্নের মুখে মোদি সরকার কিন্তু তারা সে গুলোকে কোন প্রকার আমল দিতে চাইছেন না তেমনই ভঙ্গিমায় বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় এসে ঠাকুরনগরের জনসভায়।

    ঠাকুরনগরে মতুয়া মহাসঙ্ঘের সভা  থেকে একযোগে তৃণমূল এবং কংগ্রেসকে  আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন এতদিন কৃষকদের শুধুই রাজনীতি  হয়েছে। এরপর কৃষি ঋণ  মাফ করা প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেসের কৃষিনীতিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সমর্থন করেন।

    ”ঠাকুরনগরের মাটি পবিত্র মাটি। এই মাটি বিভূতিভূষণের মাটি। এই মাটিকে প্রণাম” – একথা বলে প্রধানমন্ত্রী মোদী আজ ঠাকুর নগরে নিজের ভাষণ শুরু করেছিলেন। তিনি জানান ঠাকুরনগর সামাজিক আন্দোলনের সাক্ষী।  পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা  ভাল নয়, আমরা পরিস্থিতি বদলের চেষ্টা করছি।
    এরপর বাজেট প্রসঙ্গ টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাজেটে যে  সমস্ত প্রকল্পের কথা  বলা হয়েছে  তাতে  কৃষক থেকে শুরু করে  শ্রমিকদের উপকার হবে। আর এটা শুধুই ট্রেলার। নির্বাচনের পর সম্পূর্ণ বাজেট পেশ করার সময়ও এই ব্যাপারটা মাথায় রাখা হবে।

    এরই মাঝে  সভাস্থলে  কিছুটা  বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পেছন  থেকে  অনেকে সামনে আসার চেষ্টা করেন। তাঁদের  নিজেদের জায়গাতেই থাকতে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভিড় দেখে  বুঝতে  পারছি দিদি হিংসা  করছেন কেন?
    এরপর আবার  নিজের বক্তব্যে ফিরে আসেন মোদী। কৃষকদের উন্নতির জন্য তাঁর সরকার কী করেছে তা  তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, মাঝে কেউ থাকবে না , কৃষকদের অ্যাকাউন্টে  টাকা  চলে আসবে। এবার আপনারা বুঝতে পারছেন কেন আমি কেন আপনাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে বলেছি।

    এরপর  নাগরিকত্ব বিল নিয়ে সরব হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, হিন্দু থকে  শুরু করে  শিখদের আসতে হয়েছে। তাঁরা কোনও দোষ করেননি। আমরা তাঁদের জন্য নাগরিকত্ব বিল সংশোধন করেছি ।  তৃণমূলকে  বলছি এই বিলকে সমর্থন করুন। এর আগে  দুপুর ১২ টার কিছু আগে বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে কলকাতা এসে  পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে চপারে ঠাকুরনগর  পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১২টা নাগাদ  উত্তর চব্বিশ পরগনার ঠাকুরনগরের অস্থায়ী হেলিপ্যাডে  এসে পৌঁছয়  মোদীর চপার। সেখান থেকে কিছূটা রাস্তা গাড়িতে গিয়ে  মতুয়া  মহাসঙ্ঘের  বাড়িতে  যান  প্রধানমন্ত্রী মোদী।  বাড়ির ভেতরের  নাট মন্দিরে গিয়ে  পুজো দিলেন তিনি। পরে দেখা  করেন বড়মা-র সঙ্গে। মিনিট পাঁচেক তাঁর সঙ্গে  কথা বলেন  মোদী।