সম্পত্তির লোভে বাবাকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিলো রায়দিঘির বিজেপি নেতা

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক : সম্প্রতি তোলাবাজি, রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা, একশো দিনের টাকা তছরূপের মতো নানা অভিযোগে অভিযুক্ত হচ্ছেন এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা। কিন্তু এবার একেবারে সম্পত্তির লোভে বাবাকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। অভিযুক্ত নেতার নাম সহদেব নস্কর। দলীয় সূত্রে খবর, ধারেভারে মোটেই কম নন গেরুয়া শিবিরের ওই নেতা। রায়দিঘি বিধানসভায় দলের আহ্বায়ক এবং মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি।

     

    মৃত ব্যক্তি সুখময় নস্করকে তাঁর ছোট ছেলে সহদেব নস্কর খুন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বয়ং সুখময় বাবুর বড় ছেলে জগন্নাথ নস্কর। কিন্তু কেন খুন? অভিযোগে জানানো হয়েছে, পারিবারিক সম্পত্তির লোভেই সহদেব নস্কর, অন্য এক ভাইয়ের স্ত্রী ও ছেলে সুখময় বাবুকে খুন করে তাঁর দেহ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই অবশ্য পলাতক সহদেব নস্কর। তার স্ত্রী ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুরের বাসিন্দা প্রবীণ সুখময় নস্কর সম্প্রতি হাঁটাচলাও তেমন করতে পারতেন না।

     

    সেই তাঁরই দেহ মেলে বাড়ির সামনের একটি পেয়ারা গাছের উঁচু ডালে। ঘটনার পর থেকে বিজেপি নেতা পলাতক হওয়ায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকায় সহদেব নস্করকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপিও। ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ সম্পত্তির লোভে অন্যান্য ভাই-বোনেদের রীতিমতো মারধরও করতেন তিনি। সকলেই তাই অন্যত্র চলে যান। এমনকী পৈত্রিক সম্পত্তির অধিকাংশটা জোর করে বৃদ্ধ বাবাকে দিয়ে আগেই লিখিয়ে নিয়েছিলেন সহদেব বাবু, উঠছে এমন অভিযোগও। বাকি অংশটুকুও নিজের নামে লিখে দেওয়ার জন্যে বাবার উপর তিনি অত্যাচার করতেন বলে লিখিত অভিযোগে জানানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। দুজনকে গ্রেফতার করা হলাও সহদেবের খোঁজে তল্লাশি চলছে বিভিন্ন জায়গায়।

     

    এদিকে রেলে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে এক বিজেপি নেতা ও এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায় রেলে চাকরির নাম করে ওই প্রতারণা করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন সব্যসাচী মণ্ডল নামে এক যুবক। তাঁর অভিযোগ, রেলে চাকরির নাম করে তাঁর থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়েও জাল নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় আগেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁদের জেরা করেই নিউ ব্যারাকপুর থেকে বিজেপি নেতা দিবাকর রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেইসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনারই বীজপুর থেকে রাজেশ প্রামাণিক নাম এক বিজেপি কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়।