শিলিগুড়িতে জঙ্গলের মধ্যে পরিত্যক্ত ঘরে নাবালিকা ছাত্রীর দেহ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা : শিলিগুড়িতে জঙ্গলের মধ্যে পরিত্যক্ত ঘরে নাবালিকা ছাত্রীর দেহ উদ্ধার। শিলিগুড়ি থেকে বাগডোগরা যাওয়ার পথে মাটিগাড়ার মোটাজোত এলাকায় একটা ঘরের মধ্য়ে ওই ছাত্রীর দেহ মিলেছে। তবে সবথেকে উদ্বেগের বিষয় হল সে স্কুল ড্রেস পরেছিল। কিন্তু তার দেহ সেখানে এল কীভাবে? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে তার মাথায় আঘাত করা হয়েছিল। এদিকে তার বন্ধুদের জেরা করা হচ্ছে। তারা তার গতিবিধির কথা জানত কি না সেটা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

     

    এই ঘটনার পেছনে প্রণয়জনিত কোনও ব্যাপার রয়েছে নাকি বন্ধুদের সঙ্গে ঝামেলার পরিণতিতে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    গোটা ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাও এই ঘটনায় অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। কে বা কারা এই ঘটনার পেছনে রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিমি দূরে মিলল ছাত্রীর নিথর দেহ। উদ্বেগ ছড়িয়েছে এলাকায়।

     

    সূত্রের খবর, ওই ছাত্রী এদিনও স্কুলে গিয়েছিল। তারপর ছুটির পরে সে স্কুল থেকে চলে যায়। আর তার দেহ মিলল একটি জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায়। খাপরাইল মোড়ের কাছে এই ঘটনা। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু কেন খুন করা হল ওই ছাত্রীকে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। গোটা ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এদিকে বাড়িতে না ফিরে সে কেন ওখানে গেল, কাদের সঙ্গে গেল এসব খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, বাউন্ডারির গেটটা খোলা ছিল। সেখান দিয়েই মনে হয় এসেছিল। মেয়েটার বয়স ১৫ বছর মনে হচ্ছে। স্কুলের পোশাক ছিল। মনে হচ্ছে কেউ খুন করে পালিয়েছে। কিন্তু কেন সে ওই নির্জন জায়গায় গেল, কেন সে ওই পরিত্যক্ত ঘরের মধ্য়ে গেল সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।