|
---|
নতুন গতি ডেস্ক: রবিবার রাত্রকালীন সময়ে আন্তর্জালিক পদ্ধতিতে কালিয়াচক কলেজ, মালদা এবং কৃষ্ণনাথ কলেজ মুর্শিদাবাদ এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক আলোচনা চক্র। “প্রবলেম এন্ড প্রসপেক্ট ইন টিচিং লার্নিং ইন হাইব্রিড মোড” এই বিষয়ের উপরে অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারটিতে পুরোহিত পৌরহিত্য করেন কালিয়াচক কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর নাজিবর রহমান এবং উদ্বোধন করেন গৌড়বঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানীয় উপাচার্য রজত কিশোর দে। প্রধান বক্তা হিসেবে অনলাইন পদ্ধতিতে যোগদান করেন পূর্ব ইরানের আজারবাইজানের পায়েমে নুর বিশ্ববিদ্যালয় ইংলিশ এন্ড ট্রান্সলেশন বিভাগের অধ্যাপিকা মন্দনা কোলাজ মোহাম্মদী । তিনি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে হাইব্রিড মোড়ে পড়াশোনার সমস্যা এবং তার সমাধান। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কোন সময় মানবীয় ন্যাচারাল ইন্টেলিজেন্স এর থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে না বরং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে ব্যবহার করার সম্পূর্ণ যোগ্যতা মানব সম্পদগণকে অর্জন করতে হবে।সম্মানীয় বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষ্ণনাথ কলেজের অধ্যক্ষা সুজাতা বাগচী ব্যানার্জি। তিনি বলেন আজকের শিক্ষা ব্যবস্থায় হাইব্রিড মোড কিছু সুবিধা এনে দিয়েছে অর্থাৎ সময় সুযোগ মতো দূর প্রান্ত থেকেও যোগদান করা যায় শিক্ষা ব্যবস্থায়, যদিও কিছু অসুবিধা ভোগ করতে তথাপি এই মাধ্যম টিচিং লার্নিং এর উন্নতিতে সহায়ক হবে। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত হন কৃষ্ণনাথ কলেজের ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টের ড. আব্দুল বাসির খান এবং কালিয়াচক কলেজের জিওগ্রাফি ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান ডক্টর সঞ্জয় সাহা। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কালিয়াচক কলেজের ইংরেজি বিভাগের সৌরভ পাল এবং ম্যাথমেটিক্স ডিপার্টমেন্টের ডঃ মনিরুল ইসলাম।
সভাপতিির ভাষণে অধ্যক্ষ ডক্টর নাজিবর রহমান উল্লেখ করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দূর সঞ্চার শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে সিংক্রনিক এবং অ্যসিংক্রনিক পদ্ধতি চালু আছে প্রায় কুড়ি বছর আগে থেকে। আমাদের দেশে দূর সঞ্চার এর মাধ্যমে শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু কভিদ ১৯ আসার পর শিক্ষাব্যবস্থা থেকে আরম্ভ করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ব্যবসা-বাণিজ্য সর্বক্ষেত্রে অনলাইন বা আন্তর্জাতিক পদ্ধতি জনপ্রিয়তা লাভ করে। করোনাভাইরাসের মারাত্মক প্রভাব কমে গিয়ে নিউ নরমাল বিশ্ব ব্যবস্থায় ব্লেন্ডেড মোড বা হাইব্রিড মোড এর মাধ্যমে শিখন এবং শিক্ষা প্রদান গবেষণা ও অন্যান্য কাজ বকুল প্রচলিত হয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আজকের দিনে ভবিতব্য বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে। সব কিছুকে মিলিয়ে আমাদেরকেও যান্ত্রিকতাকে ন্যাচারাল ইন্টালিজেন্স দিয়ে কন্ট্রোল করে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টেকসই উন্নয়নের রাস্তা সুদৃঢ় ভাবে নির্ধারণ করতে হবে।