থ্যালাসেমিয়া টেস্ট এবং অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম কালিয়াচক কলেজে

    নতুন গতি, কালিয়াচক: কালিয়াচক কলেজের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কিত সচেতনতা শিবির আর এই শিবির শেষ হওয়ার পরেই কলেজ প্রাঙ্গণে থ্যালাসেমিয়া স্ক্রীনিং বা টেস্ট হলো ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাক্তনী দের জন্য। থ্যালাসেমিয়া অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম এ যোগদান করেন মালদা মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে এ বিষয়ক কাউন্সিলার, সায়ন্তনী কুমার এবং সাবিনা ইয়াসমিন এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কালিয়াচক কলেজের প্রিন্সিপাল ডক্টর নাজিবর রহমান। সভাটি পরিচালনা করেন এনএসএস প্রোগ্রাম অফিসার এবং জুলজি ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান সম্ম্রিতা পান্ডা এবং আরবি বিভাগের মুনসিফ আলী রিজভী সহযোগিতা করেন পলিটিকাল সাইন্স ডিপার্টমেন্টের গযেন কুমার বারুই এবং ম্যাথমেটিক্স ডিপার্টমেন্টের মনিরুল ইসলাম। মেডিকেল কলেজের কাউন্সিলর সায়ন্তনী কুমার চক এন্ড টক পদ্ধতিতে থ্যালাসেমিয়া ক্যারিয়ার এবং থ্যালাসেমিয়া রোগী দের বিভিন্ন অসুবিধা উল্লেখ করেন সাথে সাথে সচেতনতার মাধ্যমে কিভাবে নরমাল লাইফ লিড করা সম্ভব সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোকিত করেন। তিনি বলেন আমাদের জেলায় উত্তর প্রান্তে অর্থাৎ গাজল, হাবিবপুর, বামন গোলা এইসব এলাকায় থ্যালাসেমিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি তবে কালিয়াচক এলাকাতেও অনেক রোগী আছেন যারা এ বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন হলে অনেক সুবিধা হবে। সভাপতির ভাষণে অধ্যক্ষ প্রফেসর নজিবর রহমান বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিওর তাই ছাত্র-ছাত্রীদের আগে থেকেই এই রোগ সম্পর্কে সচেতন হবে হতে হবে এবং টেস্ট করে নিয়ে রোগ ধরা পড়লে তা থেকে বাঁচার উপায় জেনে নিতে হবে। সাথে সাথে সমস্ত এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধি করে এ রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে সমাজকে রক্ষা করার দায়িত্ব এনএসএস ভলেন্টিয়ারদের তথা অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের এবং প্রাক্তনীদের গ্রহণ করতে হবে সমাজ এবং দেশের স্বার্থে।