|
---|
নতুন গতি ডিজিটাল ডেস্ক: সারদা কেলেঙ্কারি মামলায় কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমারকে হেফাজতে চেয়ে সিবিআইয়ের আবেদন। সারদা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২৭৭ পাতার আবেদনে কুণাল ঘোষ, দেবযানী মুখোপাধ্যায়দের বয়ানের উল্লেখ করা হয়েছে।
সিবিআইয়ের দাবি, ‘জঙ্গলমহল প্রকল্পে সারদার দেওয়া অ্যাম্বুল্যান্স, মোবাইল ইউনিট প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সারদার মিডিয়া গোষ্ঠীকে টাকা। ত্রাণ তহবিল থেকে ২৩ মাস ধরে ৬ কোটি ২১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এটিও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ’, আবেদনপত্রে দাবি সিবিআইয়ের।এটাই চিটফান্ডের সঙ্গে প্রভাবশালী-যোগের ইঙ্গিত, দাবি সিবিআইয়ের।
সূত্রের খবর, ২০১৩-য় ইডির কাছে কুণাল ঘোষের বয়ানের উল্লেখ করা হয়েছে সিবিআইয়ের আবেদনে। সিবিআইয়ের দাবি, কুণাল তাঁর বয়ানে বলেছিলেন, ‘২০১১-র ভোটে ২০৫জন প্রার্থীকে ২৫ লক্ষ করে টাকা ঢেলেছিলেন সারদার সুদীপ্ত সেন, অ্যালকেমিস্টের কে ডি সিংহ। ২০৫জন প্রার্থীর প্রত্যেককে ২৫ লক্ষ করে বিলি করা হয়েছিল। টাকা বিলির দায়িত্বে ছিলেন মুকুল রায়, রজত মজুমদার। ইডিকে দেওয়া কুণালের বয়ানের উল্লেখ আবেদনে। এই ধরনের আরও অভিযোগের উল্লেখ সিবিআইয়ের । রাজীব কুমারকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন তার উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনে।
এ ব্যাপারে কুণাল বলেছেন, আইন আইনের পথে চলবে, রাজনীতি রাজনীতির পথে। আমি তদন্তে সবসময়ই সহযোগিতা করে এসেছি। সিবিআই কেন কিছু করেনি, সে তাদের ব্যাপারে। পিটিশনের পাতা না দেখলে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করাটা সমীচিন বলে মনে করছি না। সেই সময় মুকুল রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ছিলেন এবং গোটা জিনিসটার মধ্যে মুকুল রায়ের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। আমি মনে করি, এটা বিরাট ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রে আমাকে বলির পাঁঠা করা হয়েছিল। মুকুল রায়কে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত। তাঁকে গ্রেফতার করে জেরা না করলে এই রহস্যের পুরো সমাধান হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু বিজেপিতে গিয়ে তদন্ত এড়াচ্ছেন মুকুল রায়। সিবিআই সত্য উন্মোচন করলে আমি স্বাগত জানাব।