রামমন্দির নির্মাণে কাজে বাধা, জলের তোড়ে ধসে যাচ্ছে গর্ভগৃহের মাটি

নতুন গতি ডিজিটাল ডেস্ক: বাবরি মসজিদের স্থলে রাম মন্দির নির্মাণের কাজে আইনি জটিলতা না থাকলেও কোনভাবেই কাজে অগ্রগতি করানো যাচ্ছে না। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেও বারবার নির্মানগত বাধার সম্মুখীন কর্তৃপক্ষ।

    রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মাটি পরীক্ষা করার পর দেখা গিয়েছে মন্দিরের ধরে রাখার মত ক্ষমতা নেই নির্মীয়মাণ কাঠামোর জারজের সমস্যায় মন্দির নির্মাণের কাজ বিকল্প উপায় খুঁজছে কর্তৃপক্ষ।আইআইটি এনআইটি সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে মন্দিরের প্রস্তাবিত গর্ভগৃহের পশ্চিম দিকে জলের তোড়ে ধসে যাওয়ার দরুন এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

    এদিকে তীর্থক্ষেত্রের বিস্তারের প্রয়োজনে তাদের জমি নেওয়া হতে পারে বলে অযোধ্যার বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। তবে রাম মন্দির ট্রাস্ট সূত্রে জানানো হয়েছে, সরকার সব ভেবেই প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দ করেছে। তাই এতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

    গোটা স্থাপত্যের যে নকশা লারসেন এন্ড টিউব্রো জমা দিয়েছে তাতে দেখা গেছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০-৪০ মিটার গভীরে ১২০০ কংক্রিটের পিলার বসানো হবে। ট্রাস্টের সচিব জানিয়েছেন বেশ কয়েকটি পিলার ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২৫ ফুট নিচে বসিয়ে তার ২৮ দিন পর পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই স্তম্ভ গুলির উপর ৭০০ টন ভর চাপিয়ে পরীক্ষা করা হয় কিন্তু আশাতীত ফল পাওয়া যায়নি। মেশিনে যে রিডিং পাওয়া যায় সেটাও আশা করা হয়নি।

    গর্ভগৃহের পশ্চিম দিকে সরযূ নদী বয়ে চলেছে। যেখানে পিলার গুলি বসানো হয়েছে তার পাশেই নদীর জল এবং বেলে মাটি রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারদের মতে নরম বালি স্থাপত্যের ভর ধরে রাখতে পারছে না। তাই বিশেষজ্ঞরা চিন্তাভাবনা করছে কিভাবে মন্দিরের গর্ভগৃহের কাছে নদীর জল আটকে রেখে কাজের অগ্রগতি করা যায়।