ছাত্রদের চুল কাটানো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল মালদার একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে।

সংবাদদাতা, মালদহ। ছাত্রদের চুল কাটানো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল মালদার একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে। দৃষ্টিকটু চুলের ছাঁট নিয়ে স্কুলে আসার অভিযোগে প্রায় ৬০জন ছাত্রের চুল কেটে দিয়েছে ওই স্কুলের প্রিন্সিপাল বলে জানা গেছে। প্রিস্নিপাল নিজে বিষয়টা মেনেও নিয়েছেন। তবে তার দাবি, শৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিভাবকরাও তাদের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন বলে দাবী করেছেন তিনি। এছাড়াও চুল কাটার পরেও ছাত্রদের সতর্ক করতে ৬০টাকা করে ফাইনও করা হয়েছে বলে ওই স্কুল সূত্রে জানা গেছে।

    ওই স্কুল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার প্রায় ৬০জন পড়ুয়াকে চুল বড় রাখার কারণে ডেকে পাঠান প্রিন্সিপাল। পরে নাপিত ডেকে কেটে দেওয়া হয় তাদের বড় বড় চুল। দু’একজন ছাত্রকে মাথা মুড়িয়েও দেওয়া হয়।
    ওই ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের প্রিন্সিপাল বলেন, কয়েকজন অভিভাবক ফোন করেছিলেন। তারা স্কুলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। অল্প কয়েকজন অভিভাবক বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেছেন। আমরা তাদেরকে বলব কেন চুল কাটা হয়েছে।

    একই সাথে প্রিন্সিপাল বলেন, পেশাদার নাপিতকে দিয়েই আমরা ওই র ছাত্রদের চুল কাটিয়েছি। স্কুলের শৃঙ্খলা রক্ষা করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।
    নবম শ্রেণীর ছাত্রের এক অভিভাবক বলেন, আমার ছেলেকে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই এই সিদ্ধান্ত না নিয়ে আমাদের জানালে আমরাই ব্যবস্থা নিতাম। তবে আমরা এই বিষয়ে কোনও প্রতিবাদ করছি না।
    জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) তাপস বিশ্বাস বলেন, এখনও কোনও অভিযোগ আমরা পাই নি। বেসরকারি এই বিদ্যালয়গুলির উপরে আমাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ নেই। আমি ইতিমধ্যেই অন্য জেলায় বদলির নির্দেশ পেয়েছি। তবে অভিভাবকরা জানালে জেলা শিক্ষা দফতর বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করতে পারে।

    উল্লেখ্য, মাস খানেক আগে মালদহের কালিয়াচক ২ ব্লকের একটি মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষিকারা মিছিল করে বিভিন্ন সেলুনে ও অভিভাবকদের কাছে গিয়ে পড়ুয়াদের গ্রহণযোগ্য চুলের ছাঁট বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন।