|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা, নতুন গতি, মেদিনীপুর: বনাধিকার গ্রাম সভা মোর্চা, ঝাড়গ্রাম জেলার প্রথম সম্মেলন সোমবার ঝাড়গ্রামের বলাকা সাংস্কৃতিক মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল। এই সভা সঞ্চালনা করেন চৈতন বেসরা, মন্টু মুর্মু, সুধাময় মুরমু এবং সুরেন্দ্রনাথ হাঁসদা। এই সভায় ২০০ জনের বেশি বনবাসী অংশগ্রহণ করেন। সভার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয় বনবাসীদের তপশিলী উপজাতি ও অন্যান্য চিরাচরিত বনবাসী (বনাধিকারের স্বীকৃতি) আইন, ২০০৬ [The Scheduled Tribes and other Forest Dwellers (Recognition of Forest Rights) Act, 2006] আইনটি প্রয়োগ করার জন্য সচেতন করা হয় এবং যে সমস্ত গ্রামবাসীরা ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিয়ে গ্রাম সভা তৈরি করেছেন এবং গ্রাম সভার মাধ্যমে আইন মোতাবেক দাবিপত্র জমা দিয়েছেন, তা সহানুভুতির সঙ্গে বিবেচনা করার। বনাধিকার স্বীকৃতি আইন নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন কোলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী শান্তনু চক্রবর্তী।এই সভায় নয়াগ্রাম ব্লকের মলম গ্রাম পঞ্চায়তের উপপ্রধান সুপাই মুর্মু এবং বলাকা সাংস্কৃতিক মঞ্চর সম্পাদক নভেন্দু হোতা, সমাজকর্মী সৌমেন ঘোষ, সমাজকর্মী ও বনাধিকার কর্মী ঝর্ণা আচার্য অংশগ্রহণ করেন এবং বক্তব্য রাখেন।সভায় নয়াগ্রাম ব্লকের ৭টি গ্রাম সভা – কলমাপুখুরিয়া পশ্চিম, ভালিয়াচাটি, চিরিপিটি, হাড়িমারি খাসজঙ্গল, বাঁশিয়াশোল, খাসজঙ্গল নলদাম এবং জঙ্গলখাস জে এল ১১৯, বিনপুর ২ ব্লকের ৩ টি গ্রাম সভা – জয়পুর মুর্গাডাবর, বাঁকশোল, জুজারধরা গ্রামসভা থেকে এবং জাম্বনি ব্লকের দর্পশিলা গ্রাম সভা থেকে প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা গ্রাম সভার পক্ষ থেকে গ্রামের বনজ সম্পদ কিভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করবেন, কিভাবে জীববৈচিত্র রক্ষা করবেন, জল সম্পদ কিভাবে ব্যবহার করবেন, জীবন জীবিকা উন্নয়নের জন্য বনাধিকারের স্বীকৃতি কেন প্রয়োজন এ নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।