|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর:নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বামপন্থী যুবরা পালন করলেন তাঁদের সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস। মঙ্গলবার গোটা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে পালিত হলো বামপন্থী যুব সংগঠন ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন (ডিওয়াইএফআই)এর প্রতিষ্ঠা দিবস। এদিন সংগঠন পুর্ণ করলো লড়াই সংগ্রামের পথে তাদের পথচলার চল্লিশ বছর।
১৯৮০ সালের ৩ রা নভেম্বর, পাঞ্জাবের লুধিয়ানা শহরে ডিওয়াইএফআই প্রতিষ্ঠা হয়। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন, বর্তমান বাম রাজনীতির ও সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বামপন্থী কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্ব হান্নান মোল্লা। বাংলার মাটিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও দীনেশ মজুমদারের হাত ধরে এই সংগঠন মজবুত ভিত্তি তৈরি করেছিল। “সকলের জন্য শিক্ষা ও শিক্ষান্তে কাজ”- এই মূল দাবিকে সামনে রেখে সংগঠনের পথ চলা শুরু হয়েছিল চল্লিশ বছর আগে। ডিওয়াইএফআই দাবি করে চীনের যুব সংগঠনের পরে তারাই পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম যুব সংগঠন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সারাদেশের সঙ্গে এরাজ্যে সংগঠনের অফিসগুলোতে সকাল থেকেই পতাকা উত্তোল ও শহীদ বেদীতে মাল্যদানের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় মিছিল ও পথসভা ,মশাল মিছিল ,বাইক মিছিল রক্তদান ,কমিউনিটি কিচেন সহ বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মের মাধ্যমে সারাদিন দিনটি উদযাপন করলেন বাম যুব কর্মীরা। এরই সাথে তাল মিলিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে প্রতিষ্ঠা দিবসে নানা কর্মসূচিতে সামিল হন বাম যুব কর্মীরা। জেলার গোয়ালতোড়ে এক দৃপ্ত মশাল মিছিল হয়, বিকেলে মেদিনীপুর শহরে ট্যাবলো সহ বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল মিছিল ,দাঁতন, ঘাটাল, পিংলা, দাসপুর,গড়বেতা খড়্গপুর, বেলদা, সবং,ডেবরা বিভিন্ন জায়গায় নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের বিভিন্ন কর্মসূচি গুলোতে শুধু সংগঠনের দাবি-দাওয়া নয় ,লকডাউন ও করোনা সময়কালে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের যে দুরাবস্থা তৈরি হয়েছে ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ২৬ নভেম্বরের ‘সারা ভারত ধর্মঘট’ -এর কথা মিছিল ও কর্মসূচি গুলো থেকে সাধারণ মানুষকে জানান দেওয়া হয়।