বাগুইআটিতে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটানোয় আয়ার হাতেই প্রাণ গেল বৃদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা : বাড়িতে অসুস্থ বৃদ্ধ, বৃদ্ধা হোক বা বাচ্চা, অনেক সময়ই ভরসা করা হয় পরিচারিকা বা আয়ার উপর। তাঁদের দেখাশোনা, ওষুধপত্ত দেওয়ার জন্য চোখ বন্ধ করে ভরসা করতেই হয় এঁদের উপর। আর শহরাঞ্চলে বহু বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকেই এঁদের ভরসায় রেখে কাজে বের হন পরিবারের বাকিরা ! কিন্তু এই ভরসা করাটাই কাল হল। বাগুইআটিতে আয়ার হাতেই প্রাণ গেল বৃদ্ধার। অভিযোগ এমনটাই। বাগুইআটির এক অভিজাত আবাসনে ৭০ বছরের বৃদ্ধাকে খুনের অভিযোগে আয়াকে গ্রেফতার করল পুলিশ।আয়ার ওপর বৃদ্ধার দেখাশোনার ভরসা করলেও পরিবারের লোকজন ঘরে লাগিয়ে রেখেছিলেন সিসিটিভি ক্যামেরা। আর সেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজই ধরিয়ে দিল অভিযুক্ত মহিলাকে। ১১ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় কলা মিশ্র নামে ওই বৃদ্ধার।পরিবার সূত্রে খবর, গত ৭ বছর ধরে বিছানা থেকে উঠতে পারতেন না বৃদ্ধা। দেখভালের জন্য ২ জন আয়াকে রাখা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৯ সেপ্টেম্বর তারিখের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, রাতের আয়া সোফিয়া খাতুন ওই বৃদ্ধাকে মারধর করেন। বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। CCTV ফুটেজে ধরা পড়ে আয়ার কীর্তি। তার ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, ধৃত মহিলা কবুল করেছেন রাতের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটানোয় তিনি বৃদ্ধাকে মারধর করেছিলেন। আর তাতেই প্রাণ যায় তাঁর। অন্যদিকে শনিবারই নাগেরবাজারে বৃদ্ধ খুনের কিনারা করে ফেলল পুলিশ। গ্রেফতার করা হল মৃতের গাড়ি চালক সৌরভ মণ্ডলকে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত শনিবার পাঁচিল টপকে কল্যাণ ভট্টাচার্যর বাড়িতে ঢোকেন বসিরহাটের বাসিন্দা ওই যুবক। বারাসাতের কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে দিঘায় বেড়াতে যাবেন বলে মালিকের BMW গাড়িটি চান। বৃদ্ধ রাজি না হওয়ায় শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ৭২ বছরের ওই বৃদ্ধকে ধাক্কা মারায় তাঁর মাথায় আঘাত লাগে, এরপর শ্বাসরোধ করে খুন করে, ঘর থেকে গ্যারাজ ও গাড়ির চাবি হাতিয়ে, গাড়ি নিয়ে পালান ওই যুবক। দিঘা থেকে ফেরার পথে, যুবকের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকশন দেখে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে নাগেরবাজার থানার পুলিশ।