৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্দল হিসেবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করল আদি বিজেপির নেতারা

৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্দল হিসেবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করল আদি বিজেপির নেতারা

     

     

     

     

     

    নতুন গতি নিউজ ডেস্ক : বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্দল হিসেবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করল আদি বিজেপির নেতারা।

     

    শুক্রবার থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় খণ্ডঘোষের বিজেপি প্রার্থী বিজন মণ্ডলের বিরুদ্ধে নানারকম পোস্ট নজরে পড়ে। বিজনবাবুর বাড়ি রায়নার শ্যামসুন্দরে। রায়না হাইস্কুলের শিক্ষক বিজনবাবু। কিন্ত তিনি কেন নিজের বাড়ির এলাকায় ঢুকতে পারেন না সে বিষয়ে একটি পোস্ট মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। শনিবার খণ্ডঘোষের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দেওয়া হয় বিজনবাবুর বিরুদ্ধে। যা নিয়ে অস্বস্তিতে বিজেপি। এদিন বিকেলে খণ্ডঘোষের কাঁটাপুকুর এলাকায় বাঁকুড়া রোড অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। প্রার্থী বদলের দাবিতে সোচ্চার হন তাঁরা। পাশাপাশি, অন্যান্য কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়েও ক্ষুব্ধ আদি বিজেপির নেতৃবৃন্দ।

     

    আদি বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, দুর্নীতিগ্রস্ত, চরিত্রে কলঙ্কের দাগ রয়েছে সেই সব নেতাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। সেই সময় জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সন্দীপ নন্দীকে। কিন্তু প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হতে দেখা যায় সন্দীপবাবুকে বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের টিকিট দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর অনুগামীদেরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই বিষয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় আদি বিজেপির তরফে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

     

    গত জানুয়ারিতে বর্ধমানে জেলা বিজেপি কার্যালয়ে গোলমালের ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয় আদি বিজেপির নেতা স্মৃতিকান্ত মণ্ডলকে। আদি বিজেপির তরফে তাঁকে বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইভাবে বাকি ৮টিতেও নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানোর প্রস্তুতি চলছে। তবে এই নিয়ে চিন্তিত নয় বিজেপি। দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা রাঢ়বঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সন্দীপ নন্দী বলেন, “ব্যক্তির থেকে দল বড়। সিম্বল যারা পেয়েছেন তাঁদের সঙ্গেই রয়েছেন দলের কেন্দ্র, রাজ্য, জেলা, বুথ স্তরের নেতৃত্ব, কর্মীরা।”