মমতার মাস্টার প্ল্যানে ভোগান্তিতে রাজ্য বিজেপি

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক:প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি একদম শেষলগ্নে মাস্টার স্ট্রোক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে নানা ইস্যুতে প্রতিদিনই একবার না-একবার নিশানা করেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। সেই মেয়রকেই মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন শনিবার প্রধানমন্ত্রীকে শহরে অভ্যর্থনা জানানোর দায়িত্ব। আর, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর রাজভবনে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবারই একথা জানতে পারেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, আর তাতেই তাঁরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু কার্যত পিছু হটার সুরেই শুক্রবার বলেন, ‘উনি মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আসছেন। উনি দেখা করতেই পারেন। এতে অবাক হওয়ার তো কিছু নেই। আর আমরা ওঁর দলেরই কর্মী। তাই আমরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেই পারি। তবে এখনও দেখা করার কোনও কর্মসূচি ঠিক হয়নি।’
শনিবারই দু’দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি রাতে থাকবেন রাজভবনে। এমনিতে প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি না-বদলালেও রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হতে পারে বলেই শুক্রবার জানা যায়। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচিতে অদল-বদল ঘটানো কতটা কঠিন, তা রাজ্য বিজেপি নেতারা জানেন। সূত্রের খবর, সেই কারণেই রাজ্য বিজেপি নেতারা রীতিমতো বিপাকে পড়েন। দিল্লিতে যোগাযোগ করে চেষ্টাও শুরু করেন, যাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যে বিজেপির প্রতিনিধিরাও দেখা করতে পারেন। কিন্তু, সেই চেষ্টা রাত পর্যন্ত সাফল্যের মুখ দেখেনি।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর চালে বিপাকে পড়লেও, বিভিন্ন ছাত্র এবং বিরোধী সংগঠনের মোদি-বিরোধী বিক্ষোভকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্য বিজেপি। শুক্রবার এই প্রসঙ্গে সায়ন্তন বসু বলেন, ‘বনধের নামে ওরা লোক হাসিয়েছে। সেটা রাজ্যবাসী দেখেছেন। ওঁদের এত গুরুত্ব দেওয়ার কী আছে?
একনজরে প্রধানমন্ত্রী সফরসূচি
১১ জানুয়ারি
সন্ধে ৫:oo টা দমদম বিমানবন্দর।
৫:৪৫ ওল্ড কারেনসি ভবন।
৭:oo লাইট অ্যান্ড সাউন্ড নিয়ে অনুষ্ঠান।
৭:৪৫ বেলুর মঠ
৮:৩০ রাজভবন
১২ জানুয়ারি
১১:oo নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম
১২:৪৫ দমদম বিমানবন্দর