|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : নানাসময় আলুতে রং মেশানোর অভিযোগ ওঠে। সেই রং স্বাস্থ্যের জন্য় ক্ষতিকর। এই রীতি আটকাতে বহুবার পদক্ষেপ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ করা এখনও সম্ভব হয়নি। একই ছবি হুগলিতেও। আলুতে রং বা এলা মাটি মেশানো বন্ধ করতে বুধবার দ্বিতীয় দফায় সিঙ্গুরের রতনপুরে আলুর পাইকারি বাজারে অভিযান চালায় রাজ্যের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। ছিলেন হুগলি জেলার গ্রামীণ পুলিশের এনফোর্সমেন্ট দফতরের আধিকারিকরা।।পাইকারি বাজারের হানা দিয়ে আলুর আড়ত থেকে রং বা এলামটির বেশ কয়েকটি বস্তা বাজেয়াপ্ত করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা ক্ষতিকারক এই এলামাটি? সেটি পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে জানিয়েছেন হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক নিমাই চৌধুরী।২০১১ সালের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্স-এর আইন অনুযায়ী আলু বা অন্য শাক-সব্জিতে রং বা অন্য কিছু মেশানো যায় না। কিন্তু সেই নিয়ম উড়িয়ে আলুতে রং বা এলা মাটি মেশানো হচ্ছিল বলে খবর মেলে। তার পরেই, হুগলি জেলা খাদ্য সুরক্ষা দফতর ও হুগলি জেলা গ্ৰামীন পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা অভিযান চালিয়ে আলুতে রং বা এলা মাটি জাতীয় অন্য কিছু জিনিস মেশাতে বারণ করে যান। তার দুদিনের মাথায় ফের অভিযান হল সিঙ্গুরের আলুর পাইকারি বাজারে। হুগলি জেলা গ্ৰামীন পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক নিমাই চৌধুরী বলেন, ‘এলা মাটির নমুনা আমরা সংগ্ৰহ করলাম, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা ক্ষতিকারক তা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে। এই জাতীয় জিনিস মেশানো পুরোপুরি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ভবিষ্যতে যদি এই জাতীয় জিনিস মেশানো হয় তাহলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’সিঙ্গুর রতনপুর আলু ব্যবসায়ী কমিটির সহ-সম্পাদক প্রহ্লাদ মন্ডল বলেন, ‘ক্রেতারা চাইছে বলেই আমরা এলা মাটি মেশাচ্ছিলাম। কলকাতায় যদি ধরপাকড় হয়, তাহলে ওঁরা যদি চায় এলা মাটি না মেশানো আলু, তাহলে আমরাও এলা মাটি মেশানো না।’