|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের একের পর এক প্রশ্নবাণের মুখে কার্যত দিশাহীন দেখাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীদের। প্রাথমিকে চাকরিপ্রার্থীদের একটি বিশেষ অংশকে বাড়তি নম্বর দেওয়ায় প্রশ্ন তুলেছিল হাই কোর্ট। জবাবে পর্ষদের আইনজীবীরা যা যা যুক্তি দিয়েছিলেন, তার প্রত্যেকটিই খণ্ডন করলেন বিচারপতিরা। শেষে প্রশ্নের জবাব না দিতে পেরে থামতে হল পর্ষদের আইনজীবীকে।বৃহস্পতিবার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত পর্ষদের কাছে জানতে চায়, প্রশ্ন ভুল থাকার জন্য যখন পরীক্ষার্থীদের বাড়তি ১ নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হল, তখন তা সমস্ত পরীক্ষার্থীকে দেওয়া হয়নি কেন? আদালতের কাছে অভিযোগ ছিল, ২৩ লক্ষ প্রার্থীর মধ্যে শুধু মাত্র ২৭৩ জনকে ওই বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছিল। দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, পর্ষদ কিসের ভিত্তিতে ওই ২৭৩ জনকে বেছে নিয়েছিল? বিচারপতিরা সরাসরিই জানতে চান, ‘‘প্রশ্নে যদি ভুল থেকে থাকে, তবে কৃতকার্য এবং অকৃতকার্য— সব প্রার্থীকেই এক নম্বর করে বাড়ানো উচিত ছিল না কি? কেন এই বৈষম্য করা হয়েছে?’’এ ব্যাপারে হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আগেই রায় দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সেই মামলাই ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। বিচারপতিদের প্রশ্নের জবাবে প্রথমে পর্ষদের আইনজীবীরা বলেছিলেন, আইন মেনে শুধু মাত্র প্রশিক্ষিত প্রার্থীদেরই বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আদালত পাল্টা আইনজীবীদের কাছে জানতে চান, কোথাও কি বলা হয়েছিল যাঁরা ওই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাঁদেরই নম্বর দেওয়া হবে? এর জন্য আগে থেকে কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল কি? পর্ষদের আইনজীবীরা অবশ্য তার কোনও উত্তর দিতে পারেননি।