জুলাই থেকে পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্লাস্টিকজাত বিভিন্ন দ্রব্যের ব্যবহার

নিজস্ব প্রতিবেদন:- প্লাস্টিক দূষণ বর্তমানে একটি বড় সমস্যার কারণ। এই সমস্যা সমাধানের জন্য বারবার সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হলেও মানুষ কিছুতেই সচেতন হচ্ছেন না। শহর এবং শহরতলির বিস্তীর্ণ এলাকায় প্লাস্টিক ফেলার ফলে ঘটছে দূষণ। ১  জুলাই থেকে পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্লাস্টিকজাত বিভিন্ন দ্রব্যের ব্যবহার। ৭৫ মাইক্রনের ওপরে প্লাস্টিকজাত ক্যারি ব্যাগ সহ অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে সেই নিয়মে।বুধবার সকাল থেকেই বাঁকুড়া শহরে প্লাস্টিকজাত দ্রব্য বর্জন করে সমাজ ও পরিবেশকে সুন্দর করার লক্ষ্যে এবং সাধারণ মানুষদের সচেতন করতে একটি সচেতনতার পদযাত্রা এবং মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার করা হল বাঁকুড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে।এদিন সচেতন করার পাশাপাশি বিভিন্ন দোকানগুলিতে প্লাস্টিকযাত দ্রব্যের ক্রয় এবং বিক্রয়ের বিরূদ্ধে অভিযান চালানো হয় বাঁকুড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে। এদিন এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া সদর মহকুমা শাসক সুশান্ত কুমার ভক্ত, বাঁকুড়া পৌরসভার পৌর প্রধান অলকা সেন মজুমদার, পৌর প্রধান হীরালাল চট্টরাজ সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং সদর থানার পুলিশ কর্মীরা। অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি দোকানের প্লাষ্টিকজাত দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করে বাঁকুড়া পৌরসভা। তবে ঐদিন সেইসব দোকানগুলিকে সচেতন করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।পৌরসভার সূত্রে জানা যায়, নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ব্যবহার করলে বিক্রেতাদের ৫০০ টাকা এবং ক্রেতাদের ৫০ টাকা করে জরিমানা ধার্য করা হবে।বাঁকুড়ার মহকুমা শাসক সুশান্ত ভক্ত জানান, ক্রেতা এবং বিক্রেতাদেরকে সচেতন করতেই তাদের এই অভিযান। পরবর্তী ক্ষেত্রে মানুষ সচেতন না হলে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই জরিমানা করা হবে।বাঁকুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান অলকা সেন মজুমদার জানান বাঁকুড়ার মানুষ অনেকটাই সচেতন। বাঁকুড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে এই সচেতন অভিযান চালানো হল। অভিযানে নেমে বেশ কয়েকটি দোকানের প্লাস্টিক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আপাতত সেই সব দোকানদারকে সচেতন করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে পরবর্তী ক্ষেত্রে প্লাস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারি আইন না মানলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।