নিম্নমানের প্রাচীর তৈরি কবরস্থানে। কাজ বন্ধ করলো গ্রামবাসী।

মহ: নাজিম আক্তার হরিশ্চন্দ্রপুর, মালদা। নিম্নমানের কাজের অভিযোগে কবরস্থানের প্রাচীর তৈরির কাজ বন্ধ করল গ্রামবাসীরা।ঘটনাটি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর জিপির গাংনদীয়া গ্রামে।উক্ত অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

    স্থানীয় বাসিন্দা ইজাজ আহমেদ,হাসমত আলম, রাজিউন ইসলাম, সৌকত আলিরদের অভিযোগ, ‘এমএলএ কোটা অর্থাৎ সংখ্যালঘু উন্নয়নের আওতায় সপ্তাহ খানেক ধরে গাংনদীয়া মসজিদ পাড়ায় দুই একর কবরস্থানে প্রাচীর তৈরির কাজ চলছে। ২৮ লক্ষ্য টাকা বরাদ্দের এই প্রকল্পে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বহুবার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থাকে জানানো হলেও তিনি বিষয়টা নিয়ে তেমন গুরুত্ব না দেওয়ায় মেজাজ বিগড়ে যায় গ্রামবাসীদের।

    গতকাল বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী প্রাচীর তৈরির কাজটাই বন্ধ করে দেন।এই পরিস্থিতিতে স্থানীয়দের শান্ত করতে ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী কবিতা দাস । দ্রুত সমস্যাটি মিটিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সে। পঞ্চায়েত প্রধান জয়নব নেশা বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে প্রাচীর তৈরির কাজ ফের শুরু হবে।”

    এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজ সেবক মুসারফ হোসেন জানান, সংখ্যালঘু উন্নয়ন থেকে কবরস্থানে প্রাচীর তৈরি তথা বৈশা প্রকল্পটির জন্যে টাকা পাঠানো হলেও সেই টাকা সঠিক খাতে ব্যবহার করছেন না ঠিকাদাররা।কাজের কোনো সিডিউল না দেখিয়েই দু-নাম্বার ইট দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রাচীর।

    সহ বাস্তুকার পলাশ কুমার দত্ত জানান, ‘গ্রামবাসীদের অভিযোগ পেয়েছি, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মাপজোক সহ কর্মস্থলে সাইন বোর্ড লাগিয়ে কাজ করার নিয়ম।খুব শীঘ্রই বোর্ড লাগানো হবে ও গ্রামবাসীদের হাতে কাজের সিডিউল তুলে দেওয়া হবে ।’

    এই পরিস্থিতিতে কবরস্থানে প্রাচীর তৈরির কাজ কবে শুরু হবে বা আদৌ এই মুহূর্তে শুরু হবে কিনা তা নিয়ে চূড়ান্ত কৌতূহল রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে