করোনা কাটিয়ে আশার আলোয় বুক বেঁধেছে হাওড়ার প্রশস্তর মৃৎশিল্পীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনা কাটিয়ে আশার আলোয় বুক বেঁধেছে হাওড়ার প্রশস্তর মৃৎশিল্পীরা। রীতি মেনে রথের দড়িতে টান পড়লে বায়না হয় মৃৎশিল্পীদের। দুর্গা পুজোর প্রতিমা বরাত পায়, মৃৎশিল্পীদের রথের দড়িতে টান পড়ার থেকে শুরু হয় তাঁদের বরাত। যদিও এখন আগে থেকেও প্রতিমা গড়ার অল্প বরাত আসে তাঁদের। হাওড়ার প্রশস্তয় ৩৫ থেকে ৪০ টি গোলা, শিল্পীদের কথায় গোলা অর্থাৎ শিল্পালয় রয়েছে ছোট বড়। যেখানে তৈরি হয় মাটির প্রতিমা।
হাওড়ার বিখ্যাত প্রশস্ত এলাকা, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশ্বকর্মা, সরস্বতী, লক্ষ্মী কিংবা দুর্গা, সব পুজোতেই জেলার সেরা প্রতিমা নিতে প্রশস্তয় হাজির হন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষ। দু’বছর করোনা খরা কাটিয়ে, ভালো ব্যবসার আশায় এবছর বুক বেঁধেছে মৃৎশিল্পীরা। এ বছর পুজো অনেকটা সামনের দিকে, শিল্পের দেবতা বিশ্বকর্মা পুজোর পরই মন্ডপে মন্ডপে দুর্গা প্রতিমা রওনা দেবে জানান শিল্পীরা।সেই মতো হাওড়ার প্রশস্তয় ইতিমধ্যেই চরম ব্যস্ততা শিল্পীদের। বরাত সেভাবে এখনো আসেনি তবে প্রতিমা গড়তে কেউই পিছিয়ে নেই। প্রতিবছর যেমনটুকু চাহিদা থাকে। সেই মতোই প্রস্তুতি নিয়েছে শিল্পীরা। এদিকে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা! শিল্পীদের কথায়, অগাস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রতিমা বরাত নেওয়া হয়। তবে এবার পুজো সামনে, এবার হাতে কম সময়। অনেক গোলাতে দেখা গেল বিশ্বকর্মা মূর্তি গড়ার আগেই দুর্গা মূর্তি গড়ার কাজ শুরু হয়েছে। হাতে অল্প সময়, একপ্রকার ঝুঁকি নিয়েই দুর্গা প্রতিমা গড়ছে শিল্পীরা। তাদের আশা এবার রথের মতোই ধুমধাম হবে দুগ্গা পুজো।