|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : গত জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে রাজ্যজুড়ে নিষিদ্ধ হয়েছে ৭৫ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক এবং থার্মোকলের ব্যবহার। রাজ্যের অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি তা নিষিদ্ধ হয়েছে বীরভূমেও। অন্যান্য বিভিন্ন সময় এমন নানা ঘোষণা করা হয়ে থাকে। তবে এবার ঘোষণাতেই ক্ষান্ত থাকতে চায় না পৌরসভাগুলি। ইতিমধ্যেই তারা পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করে দিয়েছে।
সিউড়ি পৌরসভার তরফ থেকে সিউড়ি পৌরসভা এলাকায় সম্পূর্ণভাবে এই ধরনের প্লাস্টিক ও থার্মকল ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য অভিযান শুরু করা হয়েছে। সিউড়ি পৌরসভার আধিকারিকরা সিউড়ি পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছেন। আপাতত স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় ক্রেতাদের সচেতন করার জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আগামী দিনে যদি এই বিষয়ে ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা সতর্ক না হোন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।সিউড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রণব কর জানিয়েছেন, “এই ধরনের পদক্ষেপ বাস্তবায়িত করার জন্য সবার আগে যা প্রয়োজন তা হল মানুষের সচেতনতা। আমরা আপাতত সচেতনতা বৃদ্ধি করার কাজ চালাচ্ছি। আগামী দিনে বারবার এইভাবে সচেতন বার্তা দেওয়ার পরেও যদি ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা সতর্ক না হোন তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হব আমরা।”তবে শুধু সিউড়ি পৌরসভা নয়, একইভাবে বোলপুর পৌরসভা এবং দুবরাজপুর পৌরসভার তরফ থেকেও অভিযান চালানো হচ্ছে। আপাতত প্রতিটি এলাকায় ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের সতর্ক করা হচ্ছে। প্রত্যেক জায়গাতেই সুনির্দিষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এরপরেও সতর্ক না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে জরিমানার বন্দোবস্ত করা হবে।
বোলপুরের এক ব্যবসায়ী উজ্জ্বল দত্ত জানিয়েছেন, তারা সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন পরিবেশের দিকে তাকিয়ে। তবে এর পাশাপাশি তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাবে বলেই। কারণ এই ধরনের প্লাস্টিক নিষিদ্ধ হওয়ার পর যে সকল ব্যাগ ব্যবহার করা হবে তার দাম ব্যবসায়ীরা নিতে বাধ্য হবেন। কারণ তা নাহলে তাদের লাভ কিছু থাকবে না।
তবে শুধু পৌরসভা এলাকাগুলিতে এই ধরনের প্লাস্টিক নিষিদ্ধ হয়েছে এমনটা নয়। এর পাশাপাশি অন্যান্য জায়গাতেও এই ধরনের প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্রশাসনিক ভাবে। যেমন সিউড়ি পার্শ্ববর্তী কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েত সহ যে সকল পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে সেগুলিতেও এই ধরনের প্লাস্টিক ও থার্মকল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।