প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে একাধিক প্রচার চালানো হয়েছে তাও বেশ কিছু জায়গায় দেখা গেল প্রশাসনের অগোচরেই প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করতে

নিজস্ব সংবাদদাতা : প্লাস্টিক যে ব্যাপক হারে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে সেটা এখন অনেকেরই অজানা নয়। প্রশাসন ছাড়াও একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলি প্লাস্টিক ব্যবহারের বন্ধ করার জন্য দিনের পর দিন সতর্কমূলক প্রচার করে গেছে। শুক্রবার থেকে গোটা রাজ্যের সমস্ত জায়গায় একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে জেলার বেশ কিছু জায়গায় এখনও কিছু মানুষ রয়েছে অসতর্ক। বেশ কিছু জায়গায় দেখা গেল প্রশাসনের অগোচরেই প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করতে। নিয়মের প্রথম দিনেই মানুষের এহেন উদাসীনতায় উঠছে প্রশ্ন।প্রশাসন ও বিভিন্ন এলাকার পৌরসভার সূত্রে জানা যায় ৭৫ মাইক্রোনের নীচে প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে একাধিক প্রচার চালানো হয়েছে। এর কারণ একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যাগ যেগুলি ৭৫ মাইক্রোনের কম রয়েছে, সেগুলি মাটিতে মিশে যেতে পারে না এবং পুনর্ব্যবহার যোগ্য করে তোলা যায় না। বছরের পর বছর সেগুলি পৃথিবীর বুকে রয়ে যায় এবং দূষণের পাহাড় সৃষ্টি করে। শুধু প্লাস্টিকের একবার ব্যবহারযোগ্য ব্যাগই নয় এছাড়াও রয়েছে আইসক্রিমের কাঠি প্লাস্টিকের চামচ ইত্যাদি প্লাস্টিক দিয়ে বানানো বহু বস্তু যেগুলি একবার ব্যবহার করার পরেই ফেলে দেওয়া হয়। এবং তা অক্ষত অবস্থায় পরিবেশের বুকে রয়ে যায় চিরন্তন।শুক্রবার ছিল রথযাত্রা। ওইদিন শহরের বুকে বসেছিল একাধিক স্থায়ী এবং অস্থায়ী ব্যবসাদার। এই রথযাত্রার রথের মেলাতেই অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু ব্যবসায়ীর থেকে প্লাস্টিক উদ্ধার করা হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী প্রথম দিন বলে স্থায়ী দোকানদারদের কাছ থেকে ২০০ টাকা এবং অস্থায়ী দোকানদারদের যারা বাইরে থেকে এসেছেন এবং খুবই গরীব তাদের কাছ থেকে ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে প্রশাসন সূত্রে জানানো যায় অভিযান চালানোর পরেও ভবিষ্যতে যদি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সতর্ক না হন তবে জরিমানার অংক বাড়ানোও হতে পারে। এখন দেখার বিষয় পরিবেশ সচেতনতা এবং এর পাশাপাশি জরিমানার ভয়ে ভবিষ্যতে সচেতন হন কিনা আমজনতা।